তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
১৯ জুন ২০২৫, ১০:৩১ এএম
ডিজিটাল এই যুগে স্মার্টফোন ছাড়া দিন চলে কল্পনাও করা যায় না। ফোনের ব্যাটারি যেন দিনভর সচল থাকে, সেজন্য নিয়মিত চার্জ দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু অনেকেই জানেন না, ফোন চার্জে কতক্ষণ রাখা উচিত কিংবা বেশি সময় চার্জ দিলে ক্ষতি হয় কি না। এই প্রতিবেদন থেকে সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাবেন।
স্মার্টফোনের ব্যাটারি সাধারণত লিথিয়াম-আয়ন (লিথিয়াম আয়ন) বা লিথিয়াম-পলিমার ( লিথিয়াম পো) হয়। এগুলো ০ থেকে ১০০% পর্যন্ত চার্জ নিতে প্রায় ১.৫ থেকে ২.৫ ঘণ্টা সময় নেয়, ফোন ও চার্জারের গুণগত মান অনুযায়ী।
তবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফোন কখনোই ০% হয়ে বন্ধ না হওয়া এবং ১০০% হয়ে অতিরিক্ত সময় চার্জে না রাখা উত্তম।
সর্বোত্তম চার্জিং রেঞ্জ: ২০% থেকে ৮০% এর মধ্যে।
এই পরিসরে চার্জ দিলে ব্যাটারির আয়ু অনেক দিন স্থায়ী হয়।

চার্জ পুরোপুরি হয়ে যাওয়ার পরও যদি ফোন দীর্ঘসময় চার্জারে থাকে, তবে অতিরিক্ত তাপ তৈরি হয়। এর ফলে ব্যাটারি ও অন্যান্য হার্ডওয়্যারের ক্ষতি হতে পারে।
লিথিয়াম ব্যাটারির নির্দিষ্ট চার্জ সাইকেল থাকে। ১০০% চার্জ রেখে বা সারারাত চার্জে রাখলে এই সাইকেল দ্রুত শেষ হয়ে যায়।
বারবার অতিরিক্ত চার্জ পেলে ব্যাটারির ধারণক্ষমতা কমে যায়। ফলে নতুন ফোন হলেও দ্রুত চার্জ শেষ হতে শুরু করে।

অতিরিক্ত সময় প্লাগ ইন করে রাখলে পোর্ট ঢিলা হয়ে যেতে পারে, যা পরবর্তীতে চার্জিং সমস্যা সৃষ্টি করে।
অনেকেই রাতে ঘুমানোর সময় ফোন চার্জে দিয়ে রাখেন। যদিও আধুনিক ফোনে অটোমেটিক চার্জ কন্ট্রোল সিস্টেম থাকে, তারপরও দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎসংযোগে থাকলে উষ্ণতা বাড়ে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটারির গুণগত মান কমতে থাকে।
সারারাত চার্জ দেওয়া এড়ানোই ভালো।
ব্যাটারি ২০–৮০% এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন
ফাস্ট চার্জার ব্যবহারে সতর্ক থাকুন, ফোনের অনুমোদিত চার্জারই ব্যবহার করুন
চার্জের সময় ফোন ব্যবহার না করাই ভালো
আরও পড়ুন: ফোনের ব্যাক কভার কতদিন পর পর বদলাবেন?
রাতে ঘুমানোর আগে চার্জ দিয়ে রেখে ঘুমানো থেকে বিরত থাকুন
অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে চার্জ বন্ধ করুন
ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে চার্জ দেওয়ার সময় কিছু অভ্যাস পরিবর্তন জরুরি। ফোন কখনোই একেবারে ডিসচার্জ করা বা ১০০% হয়ে সারাক্ষণ চার্জে রাখা উচিত নয়। ব্যাটারিকে সুস্থ রাখতে চাইলে সময়মতো চার্জ দেওয়া, নির্ধারিত চার্জ লেভেলে রাখা এবং অতিরিক্ত গরম না হতে দেওয়াই সবচেয়ে ভালো কৌশল।
এজেড