তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
০৩ জুন ২০২৫, ০৮:৫৮ এএম
বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে উঠেছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। দেশে থাকা পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব বা সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলা, ছবি পাঠানো বা ভিডিও কল করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নির্ভরযোগ্য একটি মাধ্যম। তবে অনেক প্রবাসীর মনে প্রশ্ন—বিদেশে বসেও কি বাংলাদেশি মোবাইল নম্বর দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ চালানো সম্ভব?
উত্তর হলো—হ্যা, সম্ভব। তবে কিছু শর্ত ও সতর্কতা রয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট মূলত মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্টার করা হয়। আপনি যে দেশে থাকুন না কেন, হোয়াটসঅ্যাপ সেই রেজিস্টার্ড নম্বরের ভিত্তিতেই কাজ করে। এটি আপনার লোকেশন বা সিম কার্ডের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে না—যতক্ষণ না আপনি অ্যাপটি পুনরায় ইনস্টল করেন বা নম্বর পরিবর্তন করতে চান।
আরও পড়ুন: প্রবাসে বাংলাদেশি সিম ব্যবহার করা যায়?
বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় হোয়াটসঅ্যাপে রেজিস্টার করে ফেলুন।
হোয়াটসঅ্যাপে রেজিস্টার করার পর আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভ থাকবে, সিম ফোনে থাকা বাধ্যতামূলক নয়।
বিদেশে গিয়ে শুধু ইন্টারনেট কানেকশন (Wi-Fi বা মোবাইল ডেটা) থাকলেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে।
যদি আপনি বিদেশে গিয়ে নতুন করে হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টল করেন বা লগআউট করেন
তখন পুনরায় ওটিপি/OTP (ভেরিফিকেশন কোড) পাঠানো হবে সেই বাংলাদেশি নম্বরে
কিন্তু যদি সেই সিম বিদেশে রোমিং চালু না থাকে, তাহলে OTP আসবে না
ফলে অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে না

বিদেশ যাওয়ার আগে হোয়াটসঅ্যাপে একবার লগইন করে রাখুন
চেষ্টা করুন বাংলাদেশি সিমটি রোমিং চালু রেখে সঙ্গে নেওয়ার, যাতে OTP প্রয়োজন হলে পাওয়া যায়
হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট ব্যাকআপ চালু রাখুন (Google Drive/iCloud)
হঠাৎ অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে নতুন নম্বর দিয়ে আবার অ্যাকাউন্ট খুললেও পুরানো চ্যাট ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়, যদি ব্যাকআপ না থাকে
দেশে থাকা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ
আপনার পরিচিতদের কনট্যাক্ট লিস্টে আপনি আগের মতোই থেকে যাবেন
কোনো নতুন নম্বর জানানোর প্রয়োজন হবে না
OTP নির্ভর ব্যাংকিং বা অন্যান্য পরিষেবায় একই নম্বর চালু থাকায় সুবিধা হয়
হ্যা, আপনি প্রবাসে থেকেও বাংলাদেশি নম্বর দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ চালাতে পারবেন—যদি আপনি অ্যাকাউন্টে লগইন করা অবস্থায় থাকেন এবং সিমের OTP প্রয়োজন না হয়। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর বদলাতে হয় না, শুধু ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই চলে।
তবে সাবধানতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশি সিমের রোমিং চালু রাখলে ভালো, যাতে কোনো কারণে অ্যাপ আনইনস্টল হলে আবার চালু করা যায়।
এজেড