তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
২০ মে ২০২৫, ১১:৩৩ এএম
ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের উদ্যোগে গঠিত স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা বিশ্বব্যাপী উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করছে। বাংলাদেশে এই সেবা চালু হওয়ার পর, অনেকেই জানতে আগ্রহী যে এটি কীভাবে কাজ করে।
স্টারলিংক হলো স্পেসএক্সের পরিচালিত একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা, যা পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে (লিও) অবস্থিত হাজার হাজার ছোট স্যাটেলাইটের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে। এই স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করে।
গ্রাহক টার্মিনাল: ব্যবহারকারীরা একটি বিশেষ ডিশ বা টার্মিনাল ব্যবহার করে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আকাশে চলমান স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে।
স্যাটেলাইট সংযোগ: এই টার্মিনাল থেকে সিগন্যাল স্যাটেলাইটে প্রেরিত হয়, যা পরে নিকটবর্তী গ্রাউন্ড স্টেশনে পাঠানো হয়।
ডেটা রাউটিং: গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে ডেটা ইন্টারনেট ব্যাকবোনের মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছে যায় এবং সেখান থেকে প্রতিক্রিয়া আবার স্যাটেলাইট ও টার্মিনালের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর কাছে ফিরে আসে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে স্টারলিংকের ইন্টারনেটের দাম কত?
লেজার লিঙ্ক: স্টারলিংকের নতুন প্রজন্মের স্যাটেলাইটগুলো লেজার লিঙ্কের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম, যা ডেটা ট্রান্সফারকে আরও দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য করে তোলে।
নিম্ন লেটেন্সি: লিও স্যাটেলাইটের কারণে স্টারলিংক ২০-৪০ মিলিসেকেন্ডের মধ্যে লেটেন্সি প্রদান করতে পারে, যা অনলাইন গেমিং ও ভিডিও কনফারেন্সের জন্য উপযোগী।
উচ্চ গতি: স্টারলিংক ৫০ থেকে ২৫০ এমবিপিএস পর্যন্ত ডাউনলোড স্পিড সরবরাহ করতে পারে, যা স্ট্রিমিং ও বড় ফাইল ডাউনলোডের জন্য যথেষ্ট।
বিশ্বব্যাপী কভারেজ: স্টারলিংক বিশ্বের ১২৫টিরও বেশি দেশে সেবা প্রদান করছে, যার মধ্যে বাংলাদেশও অন্তর্ভুক্ত।
আবহাওয়া প্রভাব: বৃষ্টি বা ঘন মেঘলা আবহাওয়ায় সিগন্যালের গুণগত মান কিছুটা কমে যেতে পারে।
মূল্য: স্টারলিংক সেবার জন্য প্রাথমিক সরঞ্জাম খরচ এবং মাসিক ফি তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে।
স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বিশেষ করে দুর্গম ও গ্রামীণ অঞ্চলে যেখানে প্রচলিত ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছায় না, সেখানে স্টারলিংক একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে।
এজেড