images

তথ্য-প্রযুক্তি

ফোনে র‌্যাম কত হলে ভালো?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

১৬ মে ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম

স্মার্টফোন এখন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। কাজ, বিনোদন, গেমিং, ছবি তোলা থেকে শুরু করে অফিসিয়াল কাজে স্মার্টফোনের বিকল্প নেই। কিন্তু নতুন ফোন কেনার সময় অনেকেই বিভ্রান্ত হন— ফোনের র‌্যাম কত হলে ভালো হবে?

আরও পড়ুন: চার্জ দেওয়ার সময় ফোন গরম হয় কেন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফোনের র‌্যামের ওপর ফোনের পারফরম্যান্স, মাল্টিটাস্কিং এবং গেমিংয়ের অভিজ্ঞতা অনেকটাই নির্ভর করে। তবে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কত RAM যথেষ্ট, সেটাই জেনে নেওয়া জরুরি।

র‌্যাম কী?

র‌্যাম (RAM) হলো ফোনের অস্থায়ী মেমোরি, যেখানে আপনার ফোনের অ্যাপ এবং সিস্টেম কাজ করে। আপনি যত বেশি র‌্যাম পাবেন, ফোন তত বেশি অ্যাপ একসাথে চালাতে পারবে এবং স্মুথ পারফরম্যান্স দিবে।

ram_2

আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী র‌্যাম

১. সাধারণ ব্যবহার (ফোন কল, সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব)

৪ জিবি  র‌্যাম যথেষ্ট।

আপনি যদি শুধু কল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব চালান তাহলে ৪ জিবি র‌্যামের ফোন ভালো পারফরম্যান্স দিবে।

২. মাঝারি ব্যবহার (অফিস কাজ, জুম মিটিং, অনলাইন ক্লাস)

৬ জিবি র‌্যাম উপযুক্ত।

এই র‌্যাম ফোনকে মাল্টিটাস্কিংয়ে সক্ষম করে। একসাথে ব্রাউজিং, ভিডিও কল এবং লাইট গেমিংও চালানো যাবে।

৩. হেভি ইউজ (গেমিং, ভিডিও এডিটিং, ৪কি ভিডিও দেখা):

৮ জিবি বা ১২ জিবি র‌্যাম প্রয়োজন।

যারা PUBG, Free Fire বা Genshin Impact খেলেন কিংবা ভিডিও এডিট করেন, তাদের জন্য বেশি র‌্যাম প্রয়োজন। বেশি র‌্যাম থাকা ফোনে হ্যাং বা ল্যাগ কম হয়।

ram_pc2

বেশি র‌্যাম মানেই ভালো ফোন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি র‌্যাম মানেই সবসময় ভালো ফোন নয়। র‌্যামের সঙ্গে প্রসেসর, স্টোরেজ টাইপ (UFS 3.1/4.0), অপারেটিং সিস্টেমের অপ্টিমাইজেশন—এসব বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় কম র‌্যামের ফোনও ভালো অপ্টিমাইজেশনের কারণে স্মুথ পারফর্ম করে।

স্মার্টফোন কেনার আগে যা খেয়াল করবেন

র‌্যামের পাশাপাশি প্রসেসর দেখুন।

UFS স্টোরেজ টাইপ খেয়াল করুন।

RAM টাইপ (LPDDR4x, LPDDR5) চেক করুন।

আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী র‌্যাম নির্বাচন করুন। অপ্রয়োজনে বেশি র‌্যামে টাকা খরচের দরকার নেই।

এজেড