images

তথ্য-প্রযুক্তি

এসি বন্ধ করার সময় এই ভুলে বাড়ে বিদ্যুৎ বিল

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম

গরমের এই সময়ে শীতল হাওয়া পেতে অনেকেই বাসা-বাড়িতে এসি লাগাচ্ছেন। কেননা, প্রচণ্ড গরমে ঘরকে ঠাণ্ডা রাখার অন্যতম সেরা উপায় হল এসি। কিন্তু, এসির সবচেয়ে বড় সমস্যা হল বিদ্যুতের বিল। সবসময় এসি চালানো পকেটের উপর যথেষ্ট চাপ ফেলতে পারে। এই কারণেই অনেকেই কিছুক্ষণ এসি চালানোর পর তা বন্ধ করে দেন।

রিমোট থেকে এসি বন্ধ করলেও এটি বিদ্যুৎ খরচ করতে থাকবে। অনেকের অভিযোগ, অল্প সময়ের জন্য এসি চালানোর পরও তাদের বিদ্যুৎ বিল খুব বেশি আসছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কেন কম এসি ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে।

বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের বেডরুমে এসি লাগিয়ে থাকেন। রাতে ঘুমানোর সময় বা প্রয়োজন না হলে রিমোট থেকে এসি বন্ধ করে দেন। সেই সময় বেশিরভাগ মানুষ মেন সুইচ থেকে এসি বন্ধ করেন না। কিন্তু এখানে একটি ভুল তাদের বিদ্যুতের বিল বাড়িয়ে দিতে পারে। আসলে, এই সময়ে ইনডোর ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু, আউটডোর ইউনিট চলতে থাকে।

ac-main

সেই সময় রিমোটের অফ বোতাম টিপলে এসির লাইট নিভে যায় এবং সকলেই ভাবতে থাকেন যে এসি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে এসির রিলে সুইচ নষ্ট হলে, আউটডোর ইউনিট সবসময় চলতে থাকবে।

আউটডোর ইউনিট বাইরে থাকার কারণে, যে কেউ জানতে পারেন না যে, তাদের এসি বন্ধ নেই, তা চালু রয়েছে এবং ক্রমাগত বিদ্যুৎ খরচ করছে। এই অবস্থায় এসি কম ব্যবহার করলেও ২৪ ঘণ্টার বিদ্যুতের বিল আসতে পারে।

আরও পড়ুন: এই ফ্যানে বিদ্যুৎ বিল কম আসে

রিমোট থেকে এসি বন্ধ করার পর মেইন লাইন থেকেও এসি বন্ধ করা প্রয়োজন। মেইন লাইন থেকে এসি বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই এতে বিদ্যুৎপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে এবং রিলে সুইচে কোনও ত্রুটি থাকলে আউটডোর ইউনিটে লাগানো কম্প্রেসার কাজ করবে না।

জেনে রাখা প্রয়োজন যে, কম্প্রেসার ক্রমাগত চালানোর ফলে এটি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে বেশি বিদ্যুতের বিল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই কম্প্রেসার মেরামত করতেও টাকা খরচ করতে হতে পারে।

এজেড