images

তথ্য-প্রযুক্তি

ফ্রিজ মাঝেমধ্যে বন্ধ করে রাখতে হয়— একথা জানেন না অনেকেই

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০২ এএম

প্রায় প্রতিটি বাসা-বাড়িতে রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ রয়েছে। খাবার ঠান্ডা করার এই যন্ত্র কিনে আনার পর নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত চলছে তো চলছেই। খাবার দীর্ঘ সময় সতেজ রাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গৃহস্থালী যন্ত্র এটি। সঠিক ব্যবহার করলে এটি দীর্ঘদিন ভালোভাবে কার্যকর থাকবে। কিন্তু সেই ব্যবহার আমরা অনেকেই জানি না। বলুন তো, সপ্তাহে কত বার ফ্রিজ বন্ধ করা উচিত? 

লোকের মুখে শোনা কথায় ফ্রিজ না চালিয়ে নিজে বুঝে নিন। কেউ কেউ ফ্রিজ বন্ধ রেখে দেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা, আবার কেউ কেউ চালু এবং বন্ধ করতেই থাকেন নিজেদের সুবিধা বা ইচ্ছে অনুযায়ী। এমনটা কি করা যায়? 

অনেকে জানেন না কতদিন বা কত ঘণ্টার জন্য ফ্রিজ বন্ধ রাখা উচিত। যদি ভাবেন যে টানা কয়েকদিন আপনি বাড়ি নেই বলেই ফ্রিজ বন্ধ রাখবেন, খুব বড় ভুল করছেন।

ref

আসলে, ফ্রিজের নিজস্ব অটো কাট সিস্টেম রয়েছে। এতে রেফ্রিজারেটর নিজেই বন্ধ এবং চালু হতে পারে। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র।

ফ্রিজের অটো-কাট ফিচারটি ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছালে কম্প্রেসারকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেয়, যা শক্তি সাশ্রয় এবং খাদ্য সংরক্ষণে সহায়তা করে। সাধারণত, এই ফিচারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে এবং এটি ম্যানুয়ালি বন্ধ করার প্রয়োজন হয় না। 

আরও পড়ুন: ফ্রিজ খালি থাকলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়— একথা জানতেন?

কখন ফ্রিজ বন্ধ করা উচিত

ডিফ্রস্ট করার জন্য– যদি ফ্রিজে বেশি বরফ জমে যায়, তাহলে ১৫-৩০ দিনে একবার ফ্রিজ বন্ধ করে ডিফ্রস্ট করা ভালো (যদি এটি ম্যানুয়াল ডিফ্রস্ট ফ্রিজ হয়)। 

refer

পরিষ্কার করার জন্য– ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে চাইলে মাসে একবার বন্ধ করা যেতে পারে। 

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য (দীর্ঘ সময় না থাকলে)– যদি আপনি ২-৩ সপ্তাহের জন্য বাড়ির বাইরে যান, তবে ফ্রিজ খালি করে বন্ধ করে রাখতে পারেন।

ফ্রিজের ত্রুটি থাকলে– ফ্রিজ থেকে অতিরিক্ত গরম হওয়া, অস্বাভাবিক শব্দ বা পানি চুঁইয়ে পড়ার সমস্যা থাকলে, টেকনিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে ফ্রিজ বন্ধ করা যেতে পারে। 

তবে, যদি আপনি ফ্রিজ পরিষ্কার বা ডিফ্রস্ট করতে চান, অথবা দীর্ঘ সময়ের জন্য ফ্রিজ ব্যবহার না করার পরিকল্পনা করেন, তখন ফ্রিজের পাওয়ার বন্ধ করা যেতে পারে। এছাড়া, ফ্রিজের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়মিত তাপমাত্রা পরীক্ষা, দরজা সঠিকভাবে বন্ধ হওয়া নিশ্চিত করা, নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং ফ্রিজের চারপাশে পর্যাপ্ত বায়ুপ্রবাহ নিশ্চিত করা উচিত।

এজেড