images

তথ্য-প্রযুক্তি

ইউটিউবের এই নিয়ম না মানলে বন্ধ হতে পারে চ্যানেল 

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৭ এএম

গুগলের মালিকানাধীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। জনপ্রিয় এই মাধ্যমে ভিডিও আপলোড করে আয় করা যায়। যারা ভিডিও প্রকাশ করেন তাদের বলা হয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর। 

ইউটিউবে চ্যানেল খোলা এবং ভিডিও আপলোড করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রয়েছে। আর সেই নিয়ম মেনে না চললে ব্যবহারকারীর ইউটিউব চ্যানেল ব্লক পর্যন্ত করে দেওয়া হতে পারে। 

তাই যারা কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ইউটিউবে কাজ করতে চান, তাদের সেই সব নিয়ম জেনে রাখা আবশ্যক। না হলে ব্যবহারকারীর ইউটিউব চ্যানেল অজান্তেই ব্লক হয়ে যেতে পারে। তাই এই প্রতিবেদনে ইউটিউবের নির্দিষ্ট নিয়মগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

কপিরাইট লঙ্ঘন করা চলবে না: বারবার এমন কন্টেন্ট আপলোড করা উচিত নয়, যার জন্য ব্যবহারকারীকে কপিরাইট স্ট্রাইকের মুখে পড়তে হয়। তিন বার কপিরাইট স্ট্রাইক এলে ব্যবহারকারীর চ্যানেল পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

tube

কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন: ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন করে, এমন কন্টেন্ট পোস্ট করলে স্ট্রাইক খেতে হতে পারে। ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইন্স লঙ্ঘন করার উদাহরণ হল - হেট স্পিচ বা ঘৃণা ছড়ানো, হ্যারাসমেন্ট অথবা ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ প্রভৃতি। আর বারবার স্ট্রাইক এলে চ্যানেল বন্ধ হয়ে যায়।

ভুল কন্টেন্ট: ধরা যাক, ব্যবহারকারীরা এমন কন্টেন্ট আপলোড করছেন, যা স্প্যাম অথবা প্রতারণামূলক। এর ফলে ভুল পথে চালিত হতে পারে ভিউয়াররা। অথবা ধরা যাক, ব্যবহারকারীরা এমন ক্লিকবেইট টাইটল অথবা স্প্যামি ডিটেল ব্যবহার করেন, তাহলেও চ্যানেল বন্ধ হতে পারে।

অন্য কারও মতো দেখতে চ্যানেল: ধরা যাক, ব্যবহারকারী এমন একটি চ্যানেল ক্রিয়েট করলেন, যা অবিকল ভাবে অন্য ব্যবহারকারীর চ্যানেলের মতো দেখতে। তাহলেও সেই চ্যানেলকে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

আরও পড়ুন: ডিলিট করা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ফিরিয়ে আনার উপায়

শিশুরক্ষা আইন লঙ্ঘন: অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিপজ্জনক, তাদের শোষণ করে কিংবা অনুপযুক্ত পরিস্থিতিতে রাখে, এমন কন্টেন্ট আপলোড করার ফলে চ্যানেলটি অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

ক্ষতিকর অথবা বিপজ্জনক কাজকর্মের প্রচার করে এমন কন্টেন্ট: ধরা যাক, ব্যবহারকারী এমন কন্টেন্ট আপলোড করতেন, যা মাদক সেবন, ভুলভাল খাওয়াদাওয়া অথবা নিজস্ব ক্ষতি করার মতো ক্ষতিকর কাজের প্রচার করে। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে তার চ্যানেল।

এজেড