তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম
ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য দুঃসংবাদ। ইউটিউব ইন্ডিয়া সম্প্রতি একটি নতুন নীতি ঘোষণা করেছে। যা কিছু কনটেন্ট ক্রিয়েটরের জন্য সতর্কবার্তা দিচ্ছে। বিশেষ করে যারা তাদের ভিডিওকে আরও আকর্ষণীয় করে যারা তাদের ভিডিওকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ‘ক্লিকবেট’ শিরোনাম বা থাম্বনেল ব্যবহার করেন।
গুগল একটি ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, ব্রেকিং নিউজ বা সাম্প্রতিক ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি ভিডিওগুলোর মধ্যে যদি ক্লিকবেট শিরোনাম বা থাম্বনেল পাওয়া যায়, তাহলে সেগুলো প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের মতে, অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর চটকদার এবং বিভ্রান্তিকর শিরোনাম ব্যবহার করেন। যেমন ‘ব্রেকিং নিউজ’ বা ‘রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলেন’ – যা প্রায়ই দর্শকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে এবং অবশেষে ভুল তথ্য ছড়ায়।

ইউটিউব জানিয়েছে, এই ধরনের শিরোনাম দর্শকদের বিভ্রান্ত করতে পারে এবং যারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুঁজছেন তাদের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে।
গুগল ব্লগ পোস্টে বলেছে, আমরা ইউটিউবে গুরুতর ক্লিকবেট মোকাবিলায় আমাদের প্রচেষ্টা জোরদার করছি। এর অর্থ হল, আমরা এই জাতীয় ভিডিওগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের পদক্ষেপ কঠোর করতে যাচ্ছি। বিশেষত, যেখানে শিরোনাম বা থাম্বনেল এমন কিছু বার্তা দেয় যা ভিডিওটি আদৌ সেই সংক্রান্তই নয়।
গুগল আরও জানিয়েছে, এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ যখন ভিডিওটি ব্রেকিং নিউজ বা বর্তমান ঘটনাগুলো কভার করে, যাতে দর্শকরা ইউটিউবে যা দেখেন তা নিয়ে বিভ্রান্ত না হন। আমরা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ধীরে ধীরে এটি ভারতে চালু করতে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: ইউটিউবের এসব ভিডিও ডিলিট করে দেবে গুগল
এই সমস্যার সমাধানে, ইউটিউবের নিউজ ইনিশিয়েটিভ ঘোষণা করেছে যে, ক্লিকবেট কৌশল ব্যবহার করে তৈরি করা ভিডিওগুলো সরিয়ে দেওয়া হবে, তবে প্রযোজকের চ্যানেলের উপর কোনও শাস্তি আরোপ করা হবে না। সংস্থাটি জানিয়েছে, কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের তাদের ভিডিওগুলোকে ইউটিউবের নতুন গাইডলাইন অনুসারে সংশোধন করতে সময় দেওয়া হবে।

এর আগেও ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে ক্লিকবেট সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেছে। অতীতে, এই প্রযুক্তি জায়ান্ট একটি শিক্ষামূলক উদ্যোগ চালু করেছিল যাতে ক্রিয়েটররা ক্লিকবেট থেকে দূরে থাকতে পারেন। তবে বর্তমান ঘোষণার মাধ্যমে, এই ধরনের শিরোনাম বা থাম্বনেলযুক্ত ভিডিও সরাসরি সরিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে, ইউটিউবের এই পদক্ষেপ নিয়ে এখনও অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, ইউটিউব কীভাবে সংবাদ বা সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে শ্রেণিবদ্ধ এবং সংগঠিত করবে, কীভাবে রাজস্ব উৎপাদনকারী বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে এবং কীভাবে ক্লিকবেট ও আসল ভিডিওর মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ করা হবে, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
প্রযুক্তি সংস্থাটি বলেছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নতুন বিধি কার্যকর করা হবে। তবে নির্দিষ্ট তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। এছাড়াও, ক্রীড়া বা অন্যান্য বিষয়গুলি এই নিয়মের আওতায় আসবে কি না, সে সম্পর্কেও কোনও সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। ইউটিউব আগামীতে আরও বিশদ তথ্য সরবরাহ করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
এজেড