তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ এএম
শীতকালে পানি গরম করতে অনেকেই গিজার ব্যবহার করেন। এই বৈদ্যুতিক যন্ত্র গরমকালে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে। তাই শীতের শুরুতে এটি ব্যবহার করতে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয়। এমন পরিস্থিতিতে এটি মেরামতেরও প্রয়োজন হতে পারে। তাই কিছু মৌলিক পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাতে কোনও ত্রুটি ধরা পড়লে শীতের আগেই গিজার প্রস্তুত রাখা যায়।
বর্তমানে গিজার একটি সাধারণ গৃহসরঞ্জামে পরিণত হয়েছে। এটি গোসল, পরিষ্কার এবং বাসন ধোয়ার মতো কাজের জন্য গরম পানি তৈরি করে। কিছু সময়ের জন্য গিজার ব্যবহার করার পরে কিছু সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন: শীতকালে গিজার যেভাবে ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিল কম আসবে
পানি ঠিকমতো গরম হয় না
এই সমস্যাটি গিজারের একটি সাধারণ সমস্যা। গিজারের ভেতরে দুইটি গরম করার উপাদান রয়েছে, যা পানি গরম করে। যদি কারও বাড়িতে পাওয়ার সাপ্লাই ঠিক থাকে কিন্তু, গিজার থেকে গরম পানি আসছে না, তাহলে এর মানে হল গরম করার উপাদানগুলো কাজ করছে না। ত্রুটিপূর্ণ থার্মোস্ট্যাটও গরম পানি না পাওয়ার অন্যতম কারণ।
থার্মোস্ট্যাটে সমস্যা
থার্মোস্ট্যাট হল এমন একটি যন্ত্র যা কাঙ্খিত তাপমাত্রা অর্জন করলে পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ করে সেই উষ্ণতায় গিজারের ভেতরে পানির তাপমাত্রা বজায় রাখে। এই ডিভাইসটি মাঝে মাঝে বন্ধ অবস্থায় নষ্ট হয়ে যায়। এই অবস্থায় পানি গরম হয় না এবং পানি ঠান্ডা থাকে। এমন পরিস্থিতিতে যদি কখনও কেউ গিজার থেকে গরম পানি না পান, তাহলে পেশাদারের সাহায্য নিতে হবে, যাতে গরম করার উপাদান এবং থার্মোস্ট্যাট মেরামত করা যায়।
আরও পড়ুন: শীতকাল আসার আগেই গিজারের সার্ভিসিং কেন করবেন?
পানি খুব বেশি গরম হওয়া উচিত নয়
গিজারের ভেতরে পানির তাপমাত্রা একটি থার্মোস্ট্যাট দ্বারা বজায় রাখা হয়। সমস্ত গিজারের তাপমাত্রা পরিসীমা ৪০ থেকে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। থার্মোস্ট্যাট সেটিং কম তাপমাত্রায় সেট করা হলে, কম তাপমাত্রায় পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় পানি গরম না হয়ে ঠাণ্ডা থাকে।

এমন পরিস্থিতিতে, যদি কেউ গরম পানি না পান, তাহলে থার্মোস্ট্যাট সেটিংস পরীক্ষা করতে হবে। অনেক সময় কম তাপমাত্রার সেটিংসে থার্মোস্ট্যাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অর্থাৎ কম তাপমাত্রায় পাওয়ার সাপ্লাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, খারাপ থার্মোস্ট্যাটটি প্রতিস্থাপন করতে হবে।
পানির চাপ কম
কম গরম পানির চাপের প্রধান কারণগুলো হল পানির পাইপে ময়লা জমা, আউটলেট ভালভে মরিচা পড়া এবং বাধা ইত্যাদি। গিজার ব্যবহারের কিছুক্ষণ পরে, লবণাক্ত মিনারেল ওয়াটার পাইপে জমা হয়। এতে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। মরিচাতে ধীরে ধীরে পাইপ আটকে যায় এবং পানি চাপ কমে যায়।
গিজার থেকে অত্যাধিক শব্দ আসা
কেউ যদি নিজেদের গিজার থেকে হিসহিস গোছের শব্দ শুনতে পান, তাহলে তা ওয়াটার হিটার ট্যাঙ্কের নিচে লবণ এবং খনিজ জমার কারণে হতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পানিতে থাকা চুন পানির ট্যাঙ্কের নিচটা ঢেকে দেয়। এছাড়াও গরম করার উপাদান এবং ইলেকট্রোডের পৃষ্ঠগুলোও আচ্ছাদিত হয়। এই জমার কারণে, সঠিক হিটারটি অপারেশনে সমস্যা তৈরি করে এবং শব্দ করতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে গিজার ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করে এর সমাধান করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: শীতে পানি গরম করতে গিজার নাকি হিটিং রড কিনবেন?
গিজার থেকে অনবরত পানি ঝরে
গিজার থেকে পানি বের হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি হতে পারে যে গিজারের ভেতরে ড্রেন ভালভ আলগা হয়েছে বা উচ্চ চাপ তৈরি হয়েছে। পানির ট্যাঙ্কে মরিচা পড়ার কারণেও এমন হতে পারে। অনেক সময় ড্রেন ভালব আলগা থাকার কারণে গিজার থেকে পানি বের হয়। এই ক্ষেত্রে এটি শক্ত করা যেতে পারে। অন্য কোনও ত্রুটি থাকলে পেশাদারের সাহায্য নিতে হবে।
এজেড