ট্রুকলারের মতো এআই স্প্যাম অ্যালার্ট দেবে গুগল

ট্রুকলারের মতো স্প্যাম অ্যালার্ট সার্ভিস আনছে গুগল। সঙ্গে যোগ হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। বিশ্বে যখন স্প্যাম কলের সংখ্যা বেড়েছে তখনই এই পরিষেবা আনার ঘোষণা দিল সার্চ ইঞ্জিন গুগল। 

কিছু অ্যানড্রয়েড অ্যাপের ঝুঁকি সম্পর্কেও সচেতন গুগল। সেই সঙ্গে যাতে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি না হয়, এর জন্য তারা ওই সব অ্যাপের কার্যকলাপের উপরেও নজরদারি চালাবে।

পিক্সেল ফোনের মাধ্যমেই ফোন অ্যাপের ওপরেও কাজ করবে এই স্প্যাম ডিটেকশন। আসলে এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের জন্য আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকে। প্রাথমিকভাবে গুগল নিজেদের এআই টেক ব্যবহার করে কলের সম্ভাব্য ঝুঁকি নির্ধারণ করে। সেই সঙ্গে ব্যবহারকারীদের সতর্কও করে দেয়। আর সতর্কতা হিসেবে ভেসে ওঠে একটি লেবেল।

যেখানে লেখা থাকবে – Likely scam – Suspicious activity detected for this call। এবার ব্যবহারকারী চাইলে সেই কলটি কেটে দিতে পারেন। অথবা সেটিকে not a spam টগলের সাহায্যে মার্ক করে দিতে পারেন।

আরও পড়ুন: গুগলের চ্যাটবট শিক্ষার্থীকে বলল ‘দয়া করে মরে যাও’!

স্প্যাম কল ডিটেক্ট করার ক্ষেত্রে গুগলের পদ্ধতির একটা ফারাক রয়েছে। আর সেটা হল- এটি মূলত ডিভাইসের মেশিন লার্নিংয়ের উপর নির্ভরশীল। যা রিয়েল-টাইমে কল বিশ্লেষণ করতে পারে। সেই সঙ্গে কথোপকথনের টোন এবং প্যাটার্নের উপর ভিত্তি করে এর প্রকৃতি নির্ধারণ করতে পারে। গুগল নিশ্চিত করেছে যে, কোনও কল রেকর্ড করা হয় না অথবা সার্ভারে স্টোরডও থাকে না। স্প্যাম অ্যালার্টের বিকল্প আপনাআপনিই বন্ধ হয়ে যাবে।

একই ভাবে, ব্যবহারকারীদের আরও একটি সাহায্যকারী টুল রয়েছে। যা ম্যালিশিয়াস অ্যাপ দ্বারা সৃষ্ট যে কোনও আশঙ্কা বা ঝুঁকি শনাক্ত করতে পারে। সংশ্লিষ্ট সংস্থা আরও একবার আচরণ শনাক্ত করার জন্য এআই ব্যবহার করছে। যদি কোনও রকম সন্দেহজনক কার্যকলাপ গুগলের চোখে পড়ে, তাহলে উদ্বেগ সংক্রান্ত বিষয়ে অ্যাপের সাহায্যে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে দেবে তারা। সেই সঙ্গে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে তা মুছে ফেলারও নির্দেশ দেবে।

আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিক্সেল ব্যবহারকারীদের এই সমস্ত টুল অফার করছে গুগল। আর এর সুবিধা পেতে গুগল বিটা প্রোগ্রামে সাইন-আপ করতে হবে ব্যবহারকারীদের। আর এই সমস্ত টুলের সুবিধা পেতে গেলে ব্যবহারকারীদের কাছে থাকতে হবে পিক্সেল অথবা তার হায়ার মডেল।

এজেড