নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ মে ২০২৪, ০২:০৪ পিএম
দেশের টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবায় চাহিদা বাড়লেও মানহীন সেবায় গ্রাহক ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখা দেয় বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। এ জন্য অপর্যাপ্ত টাওয়ার, মানহীন মাইক্রোওয়েভ, ব্যাটারি, ওভার হেড ফাইবার ও জেনারেটর না থাকাকে দায়ী করেছে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সংগঠনের তথ্য ও দফতর সম্পাদক শেখ ফরিদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
এতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে সক্রিয় সিমধারী গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১৯ কোটি ২৬ লাখ। এর বিপরীতে যেখানে প্রায় লক্ষাধিক টাওয়ার থাকার কথা হলেও আছে মাত্র ৪৫ হাজার ২৩১টি। এরমধ্যে রবি আজাইটা লিমিটেডের ২ হাজার ২৯৬টি, গ্রামীণফোনের ১২ হাজার ৫২৬টি, বাংলালিংক ৪ হাজার ৬টি, টেলিটক ৬২১টি টাওয়ার রয়েছে। এছাড়া এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের ৮৬০টি, ইউ ডট কো লিমিটেডের ১৬ হাজার ৬৮৩টি, সামিটের ৪ হাজার ৩৮৮টি, কীর্তনখোলা ৬২১টি এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিটিসিএলের ৫১৪টি টাওয়ার রয়েছে।
আরও পড়ুন: যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে আসছে এআই প্রযুক্তি
এদিকে ২০১৮ সালে বিটিআরসি বেসরকারি চারটি টাওয়ার কোম্পানির লাইসেন্স প্রদান করে যে নীতিমালা তৈরি করেছে সেখানে বলা আছে, মোবাইল অপারেটর নতুন করে আর টাওয়ার তৈরি করতে পারবে না। অর্থাৎ টাওয়ার কোম্পানি থেকে তাদের অর্থের বিনিময়ে সার্ভিস নিতে হবে। এই টাওয়ার কোম্পানিগুলো মূলত মোবাইল অপারেটর থেকে তা কিনেছে। এদের মাইক্রোওয়েভ মানসম্মত নয়। সেই সাথে ব্যাটারিগুলো মানহীন হয়ে পড়েছে। কেননা টাওয়ারগুলোর ব্যাটারি বিদ্যুৎ চলে যাওয়া সাথে সাথে যেখানে ৬ ঘণ্টা পাওয়ার ব্যাক দেয়ার কথা। অথচ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর সেগুলোর নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পরছে।
সক্ষমতা যাচাইয়ের দাবি জানিয়ে বলা হয়, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির প্রতি আহ্বান টাওয়ারগুলো মাইক্রোওয়েভের মান এবং ব্যাটারি ধরন পর্যবেক্ষণ করুন। সেই সাথে দেশের ফাইবার অপটিক্যাল এখনও ৬৫ শতাংশ ওভারহেড থাকায় ঝড়-বৃষ্টি এলেই কেটে যাচ্ছে। ফলে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
এ অবস্থায় সমস্যাগুলোর সমাধান করার জন্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট মহলকে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতে নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে শঙ্কা বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের।
এমএইচ/