তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
১৪ মে ২০২২, ১১:২৭ এএম
কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোন কিনতে গেলে আমরা র্যাম আর রমের পরিমাণ জেনে নিই। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্রায় সব ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই এই দুটির উপস্থিতি দেখা যায়। অনেকেই র্যাম আর রমকে একই জিনিস মনে করেন। এই ধারণাটি কিন্তু একদম ভুল। এদের মধ্যে রয়েছে বড় পার্থক্য।
চলুন র্যাম ও রম বলতে আসলে কী বোঝায় এবং এদের মধ্যে কী কী পার্থক্য রয়েছে তা জেনে নিই।
র্যানডম এক্সেস মেমোরি (র্যাম)
র্যামে পূর্ণ রূপ র্যানডম এক্সেস মেমোরি। কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের সঙ্গে যুক্ত একাধিক চিপ নিয়ে র্যাম গঠিত। একে কম্পিউটার বা ডিভাইসের কর্ম এলাকা বলা যায়। র্যামে থাকা সব তথ্য বা ডেটা পড়া, পরিবর্তন করা ও ডিলিট করা যায়। এর ডেটা অস্থায়ী হয়ে থাকে। কোনো কারণে কম্পিউটার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে বা ফোন বন্ধ হয়ে গেলে র্যামে থাকা ডেটা ও প্রোগ্রাম মুছে যায়। পুনরায় ডিভাইস চালুর পর এগুলো ফিরে পাওয়া যায় না। এজন্য র্যামে কাজ করলে কিছুক্ষণ পর পর ডেটা সেভ করে রাখতে হয়।
প্রশ্ন হচ্ছে র্যামের কাজ কী? ডিভাইসের বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। যেমন- কম্পিউটার বা ফোনের সমস্ত ডেটা, ফাইল, অপারেটিং সিস্টেম সংরক্ষণ করে র্যাম। যা রিয়েল টাইমে সিপিউ এর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি দ্রুততম অপারেটিং গতি প্রদান করে। কম শক্তি অপচয়ে কাজ করে র্যাম। এটি কম্পিউটারের প্রধান মেমোরি হিসেবে কাজ করে।
রিড অনলি মেমোরি (রম)
রমের পূর্ণ রূপ হলো রিড অনলি মেমোরি। এটি স্থায়ীভাবে ডেটা সঞ্চয় করতে সক্ষম। ননভোলাটাইল মেমোরি হওয়ায় ডিভাইসের পাওয়ার অফ হয়ে গেলেও এর ডেটা কখনো মুছে যায় না। কম্পিউটারের নিজস্ব মেমোরি কেন্দ্র এটি। রমে থাকা তথ্য কোনোভাবেই পরিবর্তন করা যায় না। মোছাও যায় না। কম্পিউটার কেবল এখানে থাকা তথ্য পড়তে পারে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে। যেই ডিভাইসের রম যত বেশি হয়, সে তত দ্রুত কঠিন কাজ করতে সক্ষম।
কম্পিউটার বা ল্যাপটপের পাশাপাশি টিভি, মাইক্রোওয়েভ, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদিতেও রম ব্যবহার করা হতে পারে। সর্বদা ডেটার প্রয়োজন হয় এমন অটোমোবাইলেও এর ব্যবহার রয়েছে। ক্যালকুলেটর, প্রিন্টার, ফ্যাক্স মেশিনে র্যাম ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়া, ফিচার ফোন, হ্যান্ডি গেমস, ভিসিআর, ডিভিডি এবং ডিজিটাল ঘড়িতেও রম রয়েছে।
র্যাম আর রমের পার্থক্য
১। র্যামে ডেটা পড়া, লেখা বা মোছা সব কাজ করা যায়। কিন্তু রমে কেবল ডেটা পড়া যায়।
২। র্যামে সাময়িকভাবে ডেটা সংরক্ষণ করা গেলেও পাওয়ার বন্ধ হলে তা মুছে যায়। র্যামে থাকা ডেটা সারাজীবন সংরক্ষিত থাকে।
৩। রমের তুলনায় র্যামের গতি বেশি হয়।
৪। র্যাম প্রাইমারি স্টোরেজ আর রম সেকেন্ডারি স্টোরেজ।
৫। র্যামে যেকোনো ডেটা সহজেই আপডেট করা যায়। রমে যা কখনই সম্ভব হয় না।
৬। রমের তুলনায় র্যাম ব্যয়বহুল।
এনএম