তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৯ পিএম
এই গরমে একটু ঠান্ডা বাতাস পেতে অনেকেই বাসা-বাড়িতে এসি চালান। কিন্তু এসির বিদ্যুৎ বিল অনেক। মেপে মেপে এসি চালানোর পরও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ি করা যাচ্ছে না। এজন্য আপনিও অনেকটাই দায়ী।
বেশিরভাগ মানুষ এসি চালানোর সঠিক নিয়ম জানেন না। তাই তাদের বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে। বিশেষ করে এসির রিমোর্টে থাকা নানা ফাংশনে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন।
অনেকেই বুঝতে পারেন না যে, কীভাবে তীব্র গরম থেকে বাঁচার জন্য বিদ্যুতের বিল বাঁচিয়ে সবসময় এসি চালিয়ে রাখা সম্ভব। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এসি চালানোর সঠিক উপায়।
প্রচণ্ড গরমে ঘরকে ঠান্ডা রাখার অন্যতম সেরা উপায় হল এসি (এয়ার কন্ডিশনার)। কিন্তু এসির সবচেয়ে বড় সমস্যা হল বিদ্যুতের বিল। সবসময় এসি চালানো পকেটের উপর যথেষ্ট চাপ ফেলতে পারে।

এই কারণেই অনেকেই কিছুক্ষণ এসি চালানোর পর তা বন্ধ করে দেন। কিন্তু এটি তীব্র গরম থেকে কিছু সময়ের জন্য আরাম দেয়, তার বেশি নয়।
এসির ভুল ব্যবহার বিদ্যুৎ খরচ বাড়ায়
এই বিষয়ে প্রথমেই জেনে রাখা প্রয়োজন যে, রিমোট থেকে এসি বন্ধ করলেও এটি বিদ্যুৎ খরচ করতে থাকবে। অনেকের অভিযোগ, অল্প সময়ের জন্য এসি চালানোর পরও তাঁদের বিদ্যুৎ বিল খুব বেশি আসছে।

বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের বেডরুমে এসি লাগিয়ে থাকেন। রাতে ঘুমানোর সময় বা প্রয়োজন না হলে রিমোট থেকে এসি বন্ধ করে দেন। সেই সময় বেশিরভাগ মানুষ মেন সুইচ থেকে এসি বন্ধ করেন না।
কিন্তু এখানে একটি ভুল তাদের বিদ্যুতের বিল বাড়িয়ে দিতে পারে। আসলে এই সময়ে ইনডোর ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু, আউটডোর ইউনিট চলতে থাকে।
সেই সময় রিমোটের অফ বোতাম টিপলে এসির লাইট নিভে যায় এবং সকলেই ভাবতে থাকেন যে এসি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে এসির সুইচ বন্ধ হলেও আউটডোর ইউনিট সবসময় চলতে থাকবে।

আউটডোর ইউনিট বাইরে থাকার কারণে, অনেকেই জানতে পারেন না যে, তাদের এসি বন্ধ নেই, তা চালু রয়েছে এবং ক্রমাগত বিদ্যুৎ খরচ করছে। এই অবস্থায় এসি কম ব্যবহার করলেও ২৪ ঘণ্টার বিদ্যুতের বিল আসতে পারে।
এই পরিস্থিতি এড়াতে রিমোট থেকে এসি বন্ধ করার পর মেইন লাইন থেকেও এসি বন্ধ করা প্রয়োজন। মেন লাইন থেকে এসি বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই এতে বিদ্যুৎপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে এবং রিলে সুইচে কোনও ত্রুটি থাকলে আউটডোর ইউনিটে লাগানো কম্প্রেসার কাজ করবে না।

এই বিষয়ে জেনে রাখা প্রয়োজন যে, কম্প্রেসার ক্রমাগত চালানোর ফলে এটি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে বেশি বিদ্যুতের বিল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই কম্প্রেসার মেরামত করতেও টাকা খরচ করতে হতে পারে।
এজেড