তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৪২ এএম
মোবাইল অপারেটরগুলো এখন গ্রাহকদের কাছে দুই ধরনের সিম বিক্রি করে। একটি সাধারণ সিম। যা ফিজিক্যাল সিম নামেও পরিচিত। অন্যটি ই-সিম। যা ভার্চুয়াল সিম।
ই-সিম এবং ফিজিক্যাল সিমের মধ্যে পার্থক্য কী? কোন সিম ব্যবহার করলে আপনি কোনও রকম স্ক্যামের শিকার হবেন না?
আজকাল অনেক ব্যবহারকারীই ই-সিম ব্যবহার করছেন এবং কিছু তারা এই ই-সিম সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে সব কিছু জানেন না।

ফোনের সিম কার্ড বলতে প্রথমেই আপনার যা মাথায় আসবে, তা হল ফিজিক্যাল সিম। অর্থাৎ এনআইডি কার্ড দিয়ে তুলে আনা একটি সিম, যা ফোনের সিম স্লটে ফিট করে দিলেই নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে।
ফিজিক্যাল সিম বা সাধারণ সিম সম্পর্কে তো শুনেছেন, কিন্তু আপনি কি ই-সিম (eSIM) সম্পর্কে জানেন? ই-সিম এবং ফিজিক্যাল সিমের মধ্যে পার্থক্য কী?
চলুন জেনে নেওয়া যাক ই-সিম কী? আর ই-সিম এবং ফিজিক্যাল সিম উভয়ের সুবিধা এবং অসুবিধা।

ই-সিম কী?
ই-সিম (eSIM) মানে এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল। এটি একটি ডিজিটাল সিম, যা ডিভাইসে এম্বেড করা আছে। সহজ ভাষায়, ডিভাইসে এই সিমটি আলাদাভাবে ঢোকানোর দরকার নেই।
ই-সিমের সুবিধা কী?
ই-সিম ফিজিক্যাল সিমের চেয়ে নিরাপদ, এই সিম হারানোর বা চুরি হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই। অর্থাৎ সে ক্ষেত্রে বিপদও কিছুটা কমে যায়। ই-সিমকে সহজে ভুল কাজে ব্যবহার করা যায় না। ফলে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে আপনি ই-সিম ব্যবহার করতেই পারেন।

ফিজিক্যাল সিমের অসুবিধা ও সুবিধা
ফিজিক্যাল সিম হল সেই সিম কার্ড, যা আপনি হ্যান্ডসেটে ফিজিক্যালি ইনসার্ট করতে পারেন। সবকিছুরই ভালো খারাপ দুটি দিক থাকে, ঠিক তেমনি ফিজিক্যাল সিমেরও কিছু সুবিধা এবং কিছু অসুবিধা রয়েছে। এখনো, ই-সিমের তুলনায় ফিজিক্যাল সিম কার্ড কিনছেন বেশি মানুষ। ফিজিক্যাল সিমের একটি সুবিধা হল, এটি যেকোনো ফোনে ঢোকানো যায় তবে বাজারে এখনও অনেক ডিভাইস রয়েছে যেগুলো ই-সিম সাপোর্ট করে না। বিশেষ কিছু কিছু ডিভাইসেই এটি সাপোর্ট করে।
এজেড