তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
২১ আগস্ট ২০২৩, ০১:৫৭ পিএম
সিম কার্ডকে বলা হয় মোবাইল ফোনের প্রাণ। ছোট্ট এই চিপ দিয়ে ফোন মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারের সঙ্গে যুক্ত হয়। এর সাহায্যেই কল-এসএমএস আদান-প্রদান, ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। সিম কার্ড সবার ফোনের রয়েছে কিন্তু এর পূর্ণ রূপ জানেন না অনেকেই।
যদিও এখন আবার আগের মতো বড় সিম কার্ডেরও প্রচলন নেই। স্মার্টফোনে কম জায়গার জন্য ন্যানো সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও রয়েছে ম্যাক্রো সিমও। সম্প্রতি দেশে ভার্চুয়াল সিম বা ই-সিমও চালু হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়।
সিম কার্ডের কথা আমরা সকলেই জানলেও, এর সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়ে আমরা অনেকেই জানি না। তাই এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সিম কার্ডের সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়।
সিমের ফুল ফর্ম হল সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল বা সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিফিকেশন মডিউল। সিম হল একটি পোর্টেবল চিপ এবং অন্তর্নির্মিত সার্কিট, যা অত্যন্ত সুরক্ষিত উপায়ে আন্তর্জাতিক মোবাইল গ্রাহক পরিচয় (IMSI) সংরক্ষণ করে। এটি একটি স্মার্ট মেমোরি কার্ড, যা সারা বিশ্বে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করতে সহায়তা করে। যেখানে ইউজারদের যোগাযোগের নেটওয়ার্ক স্থির থাকে।

সিম সাধারণত স্মার্টফোন-চালিত এবং নিয়ন্ত্রিত GSM নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়। এটি চলমান এবং এটি সমর্থন করে এমন যেকোনো মোবাইল ডিভাইসের সঙ্গে ইউজাররা তা ব্যবহার করতে পারে।
সিমের ইতিহাস
প্রথম সিম কার্ডটি ১৯৯১ সালে ডেভরিয়েন্ট এবং মিউনিখ স্মার্ট-কার্ড নির্মাতা গিসেক দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। সিমটি প্রাথমিক ভাবে ইউরোপীয় টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউট দ্বারা স্বীকৃত এবং ঘোষণা করা হয়েছিল।
সিম কার্ডের কার্যকারিতা
সিম কার্ড অনেক তথ্য সঞ্চয় করে এবং গ্রাহকদের নেটওয়ার্কে প্রয়োজনীয় ডেটা-র অংশ নিয়ে আসে। তাদের কিছু ব্যক্তিগত ডেটাও ধারণ করে। সিমে সংরক্ষিত তথ্যের তালিকা হল - বিস্তারিত ঠিকানা, লিখিত বার্তা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কী, ফোন নম্বর, নেটওয়ার্ক অনুমোদন সংক্রান্ত ডেটা এবং অন্যান্য তথ্য।

এছাড়াও সিম দ্বারা বহন করা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ডেটা নিচে তালিকাভুক্ত করা হল-
- IMSI (আন্তর্জাতিক মোবাইল গ্রাহক পরিচয়)
- অনন্য সিরিয়াল নম্বর
- নিরাপত্তা তথ্য
- স্থানীয় নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত বিবরণ
- সিমের সাইজ
প্রথম দিকে যখন সিম কার্ড তৈরি করা হয়েছিল, তখন তা প্রায় ক্রেডিট কার্ডের আকারের ছিল। কিন্তু পরবর্তী কালে সিমের আকার ১৫ এমএম বাই ১২ এমএম করা হয়। কিছু স্মার্টফোনে এখন স্বতন্ত্র আকারের ন্যানো এবং মাইক্রো-সিম চিপ ব্যবহার করা হয়।
এজেড