images

ফুটবল

পেলের নামের পাশে নেই ব্যালন ডি'অর, বেরিয়ে এলো আসল রহস্য

স্পোর্টস ডেস্ক

০২ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:২৭ এএম

ডিয়েগো ম্যারাডোনার পর ফুটবলের আরও এক কিংবদন্তির মৃত্যু। ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ দিন লড়াই করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ফুটবল সম্রাট পেলে। কার্যত এই দুই মহানায়ককে হারিয়ে ফুটবল যেন অভিভাবকহীন হয়ে গেলো। পেলে আর নেই, তবে রয়ে গেছে তার সুদীর্ঘ সাফল্যের তালিকা। যে সাফল্যগাথা আজীবন লেখা থাকবে বিশ্ব ফুটবলের সোনালী ডায়েরিতে। এই ব্রাজিলিয়ান মহাতারকার জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে এখন চলছে বিস্তর আলোচনা। আপনি জানেন কি তিনবারের বিশ্বকাপজপয়ী এই কিংবদন্তি কখনো ব্যালন ডি'অর জিততে পারেননি? 

পুরো বছরে ফুটবল ক্যালেন্ডারে সেরা পারফরম্যান্সের নিরিখে দেওয়া হয় ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। অথচ ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা, অসংখ্য রেকর্ডের মালিক যিনি সেই কিংবদন্তি পেলের নামের পাশে নেই এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি। 

১৯৫৬ সাল থেকে দেওয়া হয় ব্যালন ডি'অর। পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে নিজের নামের পাশে একের পর এক রেকর্ড যোগ করেছেন পেলে। অথচ অধরা থেকে গেল মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারটি। তিনবারের এই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের এ অ্যাওয়ার্ড না পাওয়ার পেছনে রয়েছে একটি নিয়ম। 

আরও পড়ুন: মেসির ‘বডিগার্ড’কে চায় আর্জেন্টাইন বাজপাখির ক্লাব!

ব্যালন ডি'অর মূলত দিয়ে থাকে ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন। তাদের নিয়মের জন্যই বঞ্চিত হয়েছিলেন ফুটবলের কিংবদন্তি। ১৯৫৬ সাল থেকে চালু হওয়া এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ১৯৯৫ পর্যন্ত শুধু মাত্র ইউরোপের ফুটবলারদের দেওয়ার রীতি ছিল। মূলত এই জন্যই পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে পেলের নামের পাশে নেই ব্যালন ডি'অর। এই কিংবদন্তির পাশাপাশি আরেক কিংবদন্তি ফুটবলার আর্জেন্টিনার ডিয়েগো ম্যারাডনার নামের পাশে ও নেই এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি। 

আরও পড়ুন: যে কারণে মেসিই পাবেন ব্যালন ডি’অর

২০১৫ সালে ফ্রান্স ফুটবল বর্তমান নিয়মের অধীনে ব্যালন ডি'অর পাওয়ার যোগ্যদের বাছাই করে। সেখানে দেখা যায় ১৯৫৮, ১৯৫৯, ১৯৬০, ১৯৬১, ১৯৬৩, ১৯৬৪ ও ১৯৭০ সালে কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের হাতেই উঠতো ব্যালন ডি'অর। যা সর্বোচ্চ সাত বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী লিওনেল মেসির সমান হয়ে যেত। তবে নিয়মের বেড়াজালে তা আর সম্ভব হয়নি। এই পুরস্কার ব্যতীত পেলের জীবনে তিনি সবকিছুই অর্জন করেছেন। তবে ২০১৪ সালে সম্মানসূচক ব্যালন ডি'অর দেওয়া হয়েছিল পেলেকে। 

এমএএম