স্পোর্টস ডেস্ক
২০ নভেম্বর ২০২২, ১০:০০ পিএম
২ ডিসেম্বর,২০১০ তারিখটি আরবের এই দেশটির জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল। নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটি ছিল ফুটবল বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক আসরের আয়োজক হওয়া। অবশেষে দীর্ঘ ১২ বছরের অবসান ঘটেছে। মরুর বুকে 'দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ' এর পর্দা উঠেছে। স্বাগতিকদের ও ইকুয়েডরের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়ালো ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসর।
কাতারের রাজধানী দোহার কেন্দ্র থেকে ৪০ কি.মি. দূরে আল খোরে অবস্থিত আল বায়েত স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচটি শুরু হয়েছে। ৬০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এই মাঠে কাতার ও ইকুয়েডর সমর্থকরা দল বেঁধে এসেছেন নিজ দেশকে সমর্থন দেওয়ার জন্য।
এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে এক মাস ব্যাপী এই বৈশ্বিক আসরটি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে আলো ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে কাতারের গোল মেশিন আলমোয়েজ আলি এবং ইকুয়েডরের লেফটব্যাক পারভিস এস্তপিনানের। এই দুই তারকা ফুটবলার দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার।
কাতার
সাত ম্যাচে নয় গোল করে তিন বছর আগে কাতারকে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন আলি। অন্যদিকে গত বছরের কনকাকাফ গোল্ডকাপেও কাতারের পক্ষে সর্বোচ্চ গোলদাতাও ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকাতে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করার পর কাতারের এই তারকা ফুটবলার তিনটি ভিন্ন কনফেডারেশন টুর্নামেন্টে গোল করার অনন্য রেকর্ড অর্জন করেন।
ইকুয়েডর
এই দলে তিনজন ফুটবলার রয়েছেন যারা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ভিন্ন দলে খেলে থাকেন। সেই তিনজনের একজন হলেন এস্তপিনান। ইপিএলের দল ব্রাইটনের হয়ে খেলেন তিনি। এর আগে লা লিগার দল ভিয়ারিয়ালেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই লেফটব্যাকের। এস্তপিনান এমন একজন ফুটবলার যিনি ইকুয়েডরের হয়ে মাঠের উভয় প্রান্তে প্রভাব ফেলতে পারেন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলাগুলোতে গোলের জন্য ২২টি সুযোগ তৈরি করেছিলেন, যা কি না কনমেবল অঞ্চলের অন্য যে কোনো ডিফেন্ডারের চেয়ে বেশি।
এমএএম