images

ক্রিকেট

বগুড়া ক্রিকেট স্টেডিয়াম পুনর্বহালের ঘোষণা বিসিবির

জেলা প্রতিনিধি

০৮ এপ্রিল ২০২৩, ১০:১৬ পিএম

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম থেকে নিজেদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এর মধ্যে বেহাল দশা হয় মাঠটির। ফলে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে বিসিবি সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে এক মাসের ভেতরই আবার পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এছাড়া চান্দু স্টেডিয়ামকে ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে বহাল রাখার পাশাপাশি স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য আলাদা আরেকটি স্টেডিয়াম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। 

শনিবার (৮ এপ্রিল) ঢাকার মিরপুর স্টেডিয়ামে যৌথ মিটিং শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বৈঠকে বিসিবি ছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপুও অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদ্য রাগেবুল আহসান রিপু বলেছেন, ‘আপনারা শুনেছেন আবার নতুনভাবে শুরু হচ্ছে। ক্রীড়ামন্ত্রী, পাপন ভাই ও সকল বোর্ড কর্মকর্তাকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি যে তারা বুঝতে পেরেছেন। বগুড়ায় আন্তর্জাতিক মানের খেলার মাঠ থাকলেও আমাদের লোকাল খেলার কোনো মাঠ ছিল না। যার জন্য এই সংকট তৈরি হয়েছিল। উনারা আশ্বাস দিয়েছেন আলাদা মাঠ করবেন লোকাল খেলার জন্য। আমি মনে করি বগুড়া বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেক বড় অবদান রাখতে পারবে।’

এছাড়া এ নিয়ে বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাছুদার রহমান মিলন জানিয়েছেন, ‘বগুড়ায় একটি মাত্র ক্রিকেট ভেন্যু রয়েছে। সে কারণে একই সঙ্গে জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ের খেলা চালাতে সমস্যা হয়। অনেক দেরিতে হলেও বিবিসি কর্তৃপক্ষ এটি অনুধাবন করতে পেরেছেন। আর সে কারণেই তারা পৃথক একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম এক সময় ফুটবল স্টেডিয়াম ছিল। তবে ২০০৪ সালে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে সেটিকে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রূপান্তর করা হয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মালিকানাধীন ওই স্টেডিয়ামটিকে প্রথমে বিসিবি ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর ভেন্যুটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১৭ জন স্টাফ নিয়োগ দেয়।

পরবর্তীতে ২০০৬ সালের ৩০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ওই স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে ঘোষণা করে। পরে সেটি আন্তর্জাতিক টেস্ট ভেন্যুর স্বীকৃতি পায়। ওই স্টেডিয়ামেই ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল শ্রীলংকাকে চার উইকেটে পরাজিত করে। তবে ২০০৬ সালের ডিসেম্বরের পর ওই ভেন্যুতে আন্তর্জাতিক আর কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। এর পরিবর্তে জাতীয় লীগের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। এর পাশাপাশি জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্ত্বাবধানে সেখানে স্থানীয় পর্যায়ের খেলা চলতে থাকে।

বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পদাক মাছুদার রহমান মিলন বলেন, ‘নতুন একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য ২১ বিঘা জমি প্রয়োজন। অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা বগুড়া থেকে শফিউল ইসলাম সুহাস, তাওহিদ হৃদয়, তানজিদ হাসান তামিম, খাদিজাতুল কুবরা, ঋতু মনি এবং শারমিন আক্তারের মত ক্রিকেটারদের তৈরি করেছি। আলাদা ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মিত হলে আমরা আরও ক্রিকেটার তৈরি করতে পারব।’

প্রতিনিধি/এসটি