images

স্পোর্টস

বাবরের দুর্দান্ত শতকে সিরিজে ফিরল পাকিস্তান 

স্পোর্টস ডেস্ক

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:১৩ এএম

বাবর আজমকে কেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার বলা হয়, তার সঙ্গে মোহাম্মদ রিজওয়ান থাকলে যে কোনো ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে সময় লাগে না সেটার প্রদর্শনী আজ আবার দেখা গেলো করাচিতে। সাত ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় লড়াইয়ে ২০০ রানের বড় লক্ষ্যও আজ মামুলি বানিয়ে জিতেছে পাকিস্তান। ১০ উইকেটের এই বড় জয়ে দুর্দান্ত এক শতক হাঁকিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

তাতে রীতিমতো বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছেন পাকিস্তানের এই দুই ওপেনার। কুড়ি ওভারের সংস্করণে কোনো উইকেট না হারিয়ে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড এটি।

সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে খানিকটা চাপে ছিল স্বাগতিক পাকিস্তান। সেইসাথে এশিয়া কাপ ফাইনালে হারের পর থেকেই পাক অধিনায়ক বাবর আজমের দলে স্বজনপ্রীতি নিয়ে ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের বিশ্বকাপ দলে না নেওয়ায় হচ্ছিল আলোচনা। এ ছাড়া ফর্মে ছিলেন না বাবর নিজেও। তার ওপর আজকের ম্যাচে এত বড় লক্ষ্য। সব যেন সহজ করে দিয়েছে বাবর-রিজওয়ান জুটি।

২০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন পাক অধিনায়ক ও উইকেটকিপার-ব্যাটার। বাবর দেখা পেয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় শতকের। ৬৬ বলে ১১ চার আর ৫ ছক্কায় ১১০ রানে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন বাবর। আর ৫১ বলে ৪ ছক্কা ও ৫ চারে ৮৮ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দিয়ে  তাকে  যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন রিজওয়ান।

এই দুই ব্যাটার যেন আজ তাদের সমালোচকদেরও জবাব দিয়েছেন ১৬০ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করে। তাতে সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে পাকিস্তান।

এর আগে বৃহস্পতিবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। দলকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্ট ও অ্যালেক্স হেলস। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে এসে পরপর দুই বলে আগের ম্যাচের নায়ক হেলস আর ডেভিড মালানকে ফেরান শাহনেওয়াজ দাহানি।

হেলস আজকে ২১ বলে ২৬ রান করেই ফিরেছেন। রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন মালান। দুই ব্যাটার বোল্ড আউট হন। ৪২ রানে ২ উইকেট হারায় মঈন আলীর দল। 

পরে বেন ডাকেট নেমে রানের গতি আরও বাড়ান। ক্রিজে থাকা সল্টকে নিয়ে ৩৭ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন ডাকেট। ১২ ওভারের সময় ৩০ রানে থাকা সল্টকে ফেরান হারিস রউফ। পরের ওভারেই ২২ বলে ৭ চারে ৪৩ রান করা ডাকেট ফিরে যান। 

পরে হ্যারি ব্রুককে সঙ্গে নিয়ে দলকে সামনের দিকে নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মঈন। দুজনে মিলে তুলেন মাত্র ২৭ বলে ৫৯ রান। ১৯ বলে ৩ ছক্কায় ৩১ রান করে বোল্ড হন ব্রুক।

তবে শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ৪ ছক্কা ও সমান সংখ্যক চারে ৫৫ রান করে দলের স্কোর ৫ উইকেটে ১৯৯ নিয়ে যান মঈন। থাকেন অপরাজিত। প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড।