স্পোর্টস ডেস্ক
২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২০ এএম
ইংল্যান্ডের টেস্ট ওপেনার বেন ডাকেটকে ঘিরে একটি বিব্রতকর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে, যা নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি)। ৭৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে ডাকেটকে জড়ানো কণ্ঠে কথা বলতে দেখা যায় এবং তিনি স্পষ্টতই মাতাল অবস্থায় অন্যদের কাছে বাড়ি ফেরার জন্য সাহায্য চাইছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইসিবি।
ভিডিওর শুরুতেই এক ব্যক্তিকে ডাকেটকে বলতে শোনা যায়, “আমি তোমার *** ফোন দিয়ে একটা উবার অর্ডার করব, ভাই।” ক্যামেরার বাইরে থাকা একজন যখন জানতে চান ডাকেট জানেন কি না তিনি কোথায় থাকছেন, তখন ইংল্যান্ড ওপেনার সরাসরি বলেন, না। এক পর্যায়ে তাকে বলতে শোনা যায়, “চাও তো আমাকে নেটে পাঠানোর জন্য উবার ডেকে দাও, ভাই। সেটাই বোধহয় সবচেয়ে ভালো। সবচেয়ে ভালোই হবে। আমরা তো দুই-শূন্যে পিছিয়ে আছি।”
ভিডিওতে ডাকেটকে আরও বলতে শোনা যায়, “আমি আসলে কেউই না,” সঙ্গে ছিল একাধিক অশালীন শব্দ। এই ভিডিওটি সামনে এসেছে এমন এক সময়ে, যখন অভিযোগ উঠেছে ২০২৫-২৬ অ্যাশেজে দ্বিতীয় টেস্টে হারের পর অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের অভিজাত রিসোর্ট শহর নুসায় ইংল্যান্ড দলের কিছু ক্রিকেটার পার্টিতে মেতেছিলেন। যদিও ম্যাচগুলোর মাঝের দীর্ঘ বিরতির কারণে এই সফর আগেই পরিকল্পিত ছিল, তবু ইংল্যান্ড দল এটিকে ‘ছুটি’ নয়, বরং ‘বিশ্রাম’ হিসেবেই বর্ণনা করে আসছে।
ভিডিওটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইসিবি এক বিবৃতিতে বলেছে, “সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমরা অবগত। আচরণ নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা খুবই উচ্চমানের। একই সঙ্গে আমরা বুঝি, খেলোয়াড়রা সব সময় তীব্র নজরদারির মধ্যে থাকেন। আচরণ প্রত্যাশার নিচে নেমে গেলে আমাদের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। প্রয়োজনে খেলোয়াড়দের সহায়তাও করা হয়। তথ্য যাচাই শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করা হবে না।”
ইসিবির জন্য অস্বস্তি আরও বেড়েছে কারণ, এই ভিডিও সামনে আসার কয়েক ঘণ্টা আগেই দলের ক্রিকেট পরিচালক রব কি দাবি করেছিলেন, নুসায় ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা ‘খুবই শৃঙ্খলাবদ্ধ’ ছিলেন। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে তিনি বলেছিলেন, “যদি সত্যিই এমন কিছু হয়ে থাকে যে আমাদের খেলোয়াড়রা অতিরিক্ত মদ্যপান করেছে, তাহলে অবশ্যই আমরা সেটা খতিয়ে দেখব। আন্তর্জাতিক দলের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মদ্যপান আমি কোনো পর্যায়েই গ্রহণযোগ্য মনে করি না। তবে এখন পর্যন্ত যা শুনেছি, তাতে তারা খুবই ভালো আচরণ করেছে।”
ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও ইংল্যান্ডের জন্য মোটেও স্বস্তির নয়। মাঠের বাইরের আচরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনার মুখে থাকা দলটি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে, আর এই ঘটনা সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দিল।