images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

আইসিসি কেন ডিআরএসের খরচ দেয় না, প্রশ্ন স্টার্কের

স্পোর্টস ডেস্ক

২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৯ পিএম

অ্যাশেজ সিরিজজুড়ে ডিআরএসের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে যে প্রশ্নগুলো উঠেছে, সেগুলো এবার সরাসরি আইসিসির দিকেই ঠেলে দিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রযুক্তির খরচ আইসিসি কেন বহন করে না এবং কেন সব ম্যাচে একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় না, এই দুই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি।

চলমান অ্যাশেজে রিয়েল টাইম স্নিকো নিয়ে একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বিরক্তি প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড দুই দলই। অ্যাডিলেড টেস্টে এসে সেই অস্বস্তি চরমে পৌঁছায়। একটি ঘটনায় স্টাম্প মাইকে স্টার্ককে বলতে শোনা যায়, “স্নিকোকে বরখাস্ত করা দরকার।”

বিতর্কের সূত্রপাত অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিনের শেষ দিকে। ইংল্যান্ডের করা একটি রিভিউ ভুলভাবে বাতিল হয়ে যায়, পরে ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো হস্তক্ষেপ করে সেটি ফিরিয়ে দেন। কারণ হিসেবে জানানো হয়, স্নিকোর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিবিজি স্পোর্টস অপারেটরজনিত ভুল স্বীকার করেছে, যার ফলে অ্যালেক্স কেরি ভুলভাবে জীবন পেয়েছিলেন।

এই ঘটনার পর ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) একসঙ্গে আইসিসির কাছে ডিআরএস ব্যবস্থাপনা ও প্রটোকল পুনর্বিবেচনার দাবি তুলতে যাচ্ছে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে- হোস্ট ব্রডকাস্টারদের কেন প্রযুক্তির খরচ বহন করতে হয়।

স্টার্ক মনে করেন, পুরো প্রক্রিয়াটাই হওয়া উচিত কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত। “এটা সবাইকে হতাশ করে- দর্শক, আম্পায়ার, সম্প্রচারকারী সবাইকে,” বলেন স্টার্ক। “আমার প্রশ্ন খুব সাধারণ, এই প্রযুক্তি তো আম্পায়াররা ব্যবহার করেন, তাহলে আইসিসি এর খরচ বহন করে না কেন? আর কেন সব সিরিজে একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে না? এক জায়গায় এক রকম, আরেক জায়গায় আরেক রকম হলে বিভ্রান্তি বাড়েই।”

বর্তমানে আইসিসি অনুমোদিত দুটি ‘সাউন্ড-বেসড এজ ডিটেকশন’ প্রযুক্তি রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবহৃত আরটিএস এবং বিশ্বের অন্য অংশে ব্যবহৃত আল্ট্রাএজ। সাবেক অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক রিকি পন্টিং পর্যন্ত মন্তব্য করেছেন, আরটিএস-এর ওপর আম্পায়ারদের “ভরসা করা কঠিন” এবং তার মতে আল্ট্রাএজ তুলনামূলকভাবে ভালো।

অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক ভঙ্গিতেই কথা বলেছেন, তবে পার্থক্য যে আছে সেটাও অস্বীকার করেননি। “এখানকার প্রযুক্তিটা বিদেশে যেটা দেখি, তার থেকে একটু আলাদা মনে হয়,” বলেন কামিন্স। “কখনো কখনো মনে হয় সব ঠিকঠাক মিলছে তো? ব্যাটিং করলেও এমন হয়, আপনি জানেন ব্যাট লাগেনি, তবু নিশ্চিত হতে হয়। খুব একটা ধারাবাহিক মনে হয় না, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনেই এগোতে হয়।”

বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) আল্ট্রাএজ ব্যবহার হলেও চলমান সিরিজের মাঝপথে প্রযুক্তি বদলানোর কোনো নিয়ম নেই। ফলে মেলবোর্ন ও সিডনিতে অ্যাশেজের শেষ দুই টেস্টেও ব্যবহার হবে আরটিএস-ই।