images

স্পোর্টস / ফুটবল

দ্রুততম ‘সেঞ্চুরির’ রেকর্ড কেইনের

স্পোর্টস ডেস্ক

২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৩ পিএম

বুন্দেসলিগায় হ্যারি কেইনের সময়টা যেন রেকর্ড ভাঙার ধারাবাহিক উৎসব। তৃতীয় মৌসুম এখনো অর্ধেকও হয়নি, অথচ বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে গোল আর অ্যাসিস্ট মিলিয়ে ১০০ ছুঁয়ে ফেলেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।

রোববার এফসি হাইডেনহাইমের বিপক্ষে ৪-০ গোলের দাপুটে জয়ে বায়ার্নের শেষ গোলটি করেন কেইন। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে করা সেই গোলটি ছিল চলতি বুন্দেসলিগা মৌসুমে তার ১৯তম। ফলে গোলদাতার তালিকায় তিনি এখন অনেকটাই একা, দ্বিতীয় স্থানে থাকা লুইস দিয়াজ, জোনাথান বুরকার্ড ও দেনিজ উন্ডাভের চেয়ে ১১ গোল এগিয়ে।

এই গোলটি কেইনের জন্য ছিল আরও বিশেষ। বুন্দেসলিগায় এটি তার শততম গোল অবদান। মাত্র ৭৮ ম্যাচে তিনি করেছেন ৮১ গোল, সঙ্গে যোগ করেছেন ১৯টি অ্যাসিস্ট। ২০০৪–০৫ মৌসুমের পর থেকে এত দ্রুত এই মাইলফলকে পৌঁছানো আর কেউ পারেননি। এ পথে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন বায়ার্ন কিংবদন্তি আরিয়েন রবেনকে, যার লেগেছিল ১১৯ ম্যাচ।

ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগ মিলিয়েও গত তিন মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোল অবদান এখন কেইনেরই, ১০০টি। কাছাকাছি আছেন কেবল কিলিয়ান এমবাপ্পে, যিনি রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজি মিলিয়ে করেছেন ৯০টি। বায়ার্নে এসে কেইন যে বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন, তা বারবার প্রমাণ করছেন। হাইডেনহাইমের বিপক্ষে গোলটি ছিল চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তার ৩০তম।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও পিছিয়ে নেই এই ইংলিশ তারকা। পাঁচ গোল নিয়ে তিনি যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে, যেখানে তার সঙ্গী অ্যান্থনি গর্ডন ও গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। ডিএফবি-পোকালে তো আরও ভয়ংকর- মাত্র তিন ম্যাচে পাঁচ গোল, এককভাবে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ। সম্প্রতি স্টুটগার্টের বিপক্ষে ৫-০ জয়ের ম্যাচে মৌসুমের তৃতীয় হ্যাটট্রিক করে নিজের প্রভাব আরও স্পষ্ট করেছেন কেইন। তার দুর্দান্ত ফর্মে ভর করেই বায়ার্ন এখন বুন্দেসলিগায় শীর্ষে, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৯ পয়েন্ট এগিয়ে।

বছরের শেষ ম্যাচ খেলে ইতোমধ্যে শীতকালীন বিরতিতে গেছে বায়ার্ন। জানুয়ারির ১১ তারিখে উলফসবুর্গের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ফিরবে তারা। এরপর অপেক্ষায় আছে কোলন ও আরবি লাইপজিগের সঙ্গে লড়াই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও সামনে রয়েছে রয়্যাল ইউনিয়ন সাঁ-জিলোয়াজ ও পিএসভি আইন্দহোভেনের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচ।

সব মিলিয়ে, বায়ার্ন মিউনিখে হ্যারি কেইনের গল্পটা এখন আর ‘মানিয়ে নেওয়ার’ নয়, এটা পুরোপুরি আধিপত্যের।