images

স্পোর্টস / ফুটবল

‘বিশ্বসেরা ফুটবলার হতে ইয়ামালের একজন বান্ধবী থাকা দরকার’

স্পোর্টস ডেস্ক

২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫০ এএম

বার্সেলোনার জার্সিতে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই অভিষেকের পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে লামিনে ইয়ামাল। মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত জীবনও কম আলোচিত নয়। বয়স এখন মাত্র ১৮, অথচ এরই মধ্যে আর্জেন্টাইন পপ তারকা নিকি নিকোলের সঙ্গে সম্পর্ক, আবার সেই সম্পর্কের ইতি- সবকিছুই জায়গা করে নিয়েছে শিরোনামে।

ইয়ামাল ও নিকোলের সম্পর্কটা খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। চলতি বছরের জুলাইয়ে ইয়ামালের ১৮তম জন্মদিনের সময় দুজনের ঘনিষ্ঠতা প্রকাশ্যে আসে। নিকোল তখন স্পেনেও গিয়েছিলেন তার সঙ্গে সময় কাটাতে। বার্সেলোনায় নিয়মিত দেখা যেত তাকে, এমনকি ম্যাচের সময় স্ট্যান্ডেও হাজির ছিলেন তিনি। সেপ্টেম্বরের শুরুতে নিকোল নিজেই জানিয়েছিলেন, “আমি খুব প্রেমে আছি, খুব সুখী। সে আমাকে কাতালান ভাষায় ‘ত’এস্তিমো’- ভালোবাসি- বলতে শিখিয়েছে।”

কিন্তু অক্টোবরেই সেই গল্পে ছেদ পড়ে। ইতালিয়ান ইনফ্লুয়েন্সার আন্না গেগনোসোর সঙ্গে ইয়ামালের গোপন সাক্ষাতের খবর ছড়িয়ে পড়ে স্প্যানিশ মিডিয়ায়। অভিযোগ ওঠে, নিকোলের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীনই অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ইয়ামাল। যদিও এসব গুঞ্জন সরাসরি নাকচ করে দেন বার্সেলোনার এই বিস্ময়বালক।

স্প্যানিশ টিভি অনুষ্ঠান ডি কোরাসোন-এ ইয়ামাল স্পষ্ট করে বলেন, “আমরা একসঙ্গে নেই, তবে কোনো বিশ্বাসঘাতকতার কারণে নয়। আমরা আলাদা হয়ে গেছি- এটাই সত্য। যেসব কথা শোনা যাচ্ছে, সেগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের কোনো যোগ নেই। আমি কারও সঙ্গে প্রতারণা করিনি, কিংবা অন্য কারও সঙ্গে জড়াইনি।”

এর মধ্যেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেন অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের সাবেক তারকা পাওলো ফুট্রে। স্প্যানিশ টেলিভিশনে তিনি মন্তব্য করেন, ইয়ামালের এখন ‘একজন বান্ধবী থাকা দরকার’, তবেই সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হতে পারবে। 

তবে এমন পরামর্শ দেওয়ার পেছনে উপযুক্ত কারণও দেখিয়েছেন ফুত্রে। তার মতে, হৃদয়ে ভালোবাসার কেউ একজন থাকলে আর সহজেই বিচলিত হন না কেউ। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানদের মায়ের সঙ্গে যখন পরিচয় হলো, তখন থেকেই আমি শতভাগ ফুটবলার হয়ে উঠলাম। অকারণে বাইরে আড্ডা দেওয়া কমিয়ে দিলাম। ড্রেসিংরুমে আমার গুরুত্ব বেড়ে গেল, কারণ আমি দায়িত্বশীল হতে শিখেছিলাম।’ নিজের উদাহরণ টেনে ফুট্রে বলেন, সন্তানদের মায়ের সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকেই তিনি আরও দায়িত্বশীল ফুটবলার হয়ে উঠেছিলেন।

এই মন্তব্য যেমন বিস্ময় তৈরি করেছে, তেমনি আবার প্রশ্নও তুলেছে, মাত্র ১৮ বছর বয়সী এক ফুটবলারের ব্যক্তিগত জীবন আদৌ কতটা আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত? মাঠে ইয়ামাল ইতিমধ্যেই নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিচ্ছেন। বাকি গল্পটা যে কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার।