images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

আমরা অস্ট্রেলিয়ার চাপ সামলাতে পারিনি- স্টোকস

স্পোর্টস ডেস্ক

২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১৬ পিএম

মাত্র ১১ দিনের টেস্ট ক্রিকেটেই অ্যাশেজ ধরে রাখল অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডিলেডে ৮২ রানের জয়ে সিরিজে ৩-০ লিড নিয়ে অপ্রতিরোধ্য অবস্থানে পৌঁছে গেছে স্বাগতিকরা। আর এর সঙ্গেই ভেঙে গেল বেন স্টোকসের সেই অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ জেতা ইংল্যান্ড অধিনায়কদের অভিজাত তালিকায় নাম লেখানোর স্বপ্ন।

এই হার ইংল্যান্ডের জন্য আরেকটি হতাশাজনক পরিসংখ্যানও সামনে আনল। ২০১৩-১৪ মৌসুমে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় খেলা শেষ ১৮টি টেস্টের মধ্যে ১৬টিতেই হেরেছে ইংল্যান্ড, একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্টোকস বলেন, “এটা সত্যিই বাজে লাগে।” এত দ্রুত সিরিজ শেষ হয়ে যাওয়ায় হতাশ হলেও তিনি মনে করিয়ে দেন, মেলবোর্ন ও সিডনিতে এখনো দুটি টেস্ট বাকি। “আমরা যা করতে এখানে এসেছিলাম, সেটা এখন আর সম্ভব নয়, এটা ভীষণ হতাশাজনক। কিন্তু সিরিজে এখনো দুটি ম্যাচ আছে। ব্যক্তি ও দল হিসেবে আমাদের জন্য এখনো অনেক কিছু খেলতে বাকি,” বলেন স্টোকস। তিনি যোগ করেন, “শুধু সিরিজ হেরে গেছি বলে সব ছেড়ে দেওয়ার মানুষ আমরা নই। লক্ষ্য বদলাতে হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সামনে এগোনোর মতো অনেক কিছু আছে।”

পার্থ ও ব্রিসবেনে প্রথম দুই টেস্টে একেবারেই ছাপিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ফলে অ্যাডিলেড টেস্টটি হয়ে দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের জন্য ‘ডু অর ডাই’। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো নিজেদের পক্ষে নিতে না পারায় আবারও মূল্য দিতে হয়েছে স্টোকসদের। ব্যাটিংয়েও ছিল হতাশাজনক শট নির্বাচন। হ্যারি ব্রুক ও অলি পোপ সহজেই উইকেট বিলিয়ে দেন।

এর ওপর ব্রুকের দুটি ক্যাচ মিস ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়, প্রথম ইনিংসে উসমান খাজাকে ৫ রানে এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ট্রাভিস হেডকে ৯৯ রানে জীবনদান করেন তিনি। এমনকি দ্বিতীয় দিনেও ইংল্যান্ডের বোলিং ছিল দিকহীন; বাজে বল করে অস্ট্রেলিয়ার টেইলএন্ডার ব্যাটারদের সুযোগ করে দেয় যা শেষ পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ৩৭১ রানে পৌঁছায়।

স্টোকস অকপটে স্বীকার করেন, তিন বিভাগেই অস্ট্রেলিয়া ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে ছিল। “ব্যাপারটা খুব সহজ- ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং- এই তিনটি দিকেই অস্ট্রেলিয়া আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ধারাবাহিক ছিল। রান করা, উইকেট নেওয়া আর ক্যাচ ধরা, এই তিনটিতেই তারা আমাদের ছাড়িয়ে গেছে,” বলেন স্টোকস।

পঞ্চম দিনে অনেকেই ভেবেছিলেন ম্যাচটি প্রথম সেশনেই শেষ হয়ে যাবে। তবে জেমি স্মিথ, উইল জ্যাকস ও ব্রাইডন কার্সের লড়াইয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইংল্যান্ড।স্টোকস মনে করেন, এই ম্যাচ থেকে তার কয়েকজন খেলোয়াড় নিজেদের সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছে। “গত এক সপ্তাহে কিছু খেলোয়াড় নিজেদের সম্পর্কে হয়তো আগের চেয়ে বেশি জেনেছে। এই ম্যাচ থেকে নেওয়ার মতো অনেক ইতিবাচক দিক আছে, শুধু বাকি দুটি টেস্ট নয়, ভবিষ্যতের ক্রিকেটের জন্যও,” বলেন তিনি। তবে সঙ্গে যোগ করেন, “এটাই এই সফরে আমাদের সেরা ক্রিকেট, কিন্তু তবুও এটা যথেষ্ট ভালো ছিল না।”

“আমি পেছনে তাকাতে পছন্দ করি না। শেষ পর্যন্ত মাঠে আপনি কী করেন, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর আমরা অস্ট্রেলিয়ার চাপ সামলাতে পারিনি,” বলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।