images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

১১ দিনেই অ্যাশেজ জিতে আর ঝুঁকি নিতে চান না কামিন্স

স্পোর্টস ডেস্ক

২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম

পার্থ দিয়ে শুরু। এরপর ব্রিসবেন আর অ্যাডিলেডেও জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। সব মিলিয়ে মাত্র ১১ দিনের খেলায় অ্যাশেজ জিতে অস্ট্রেলিয়া যে কতটা স্বস্তিতে আছে, তা প্যাট কামিন্সের কথাতেই স্পষ্ট। তবে এই সাফল্যের মাঝেই অজি অধিনায়ক ইঙ্গিত দিলেন বক্সিং ডে টেস্টে তাকে না-ও দেখা যেতে পারে, এমনকি সিরিজে তার আর নামাও অনিশ্চিত।

অ্যাডিলেড টেস্টে ছয় উইকেট নেওয়া কামিন্সের জন্য এটি ছিল প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর প্রথম ম্যাচ। পিঠের চোট কাটিয়ে ফেরা এই পেসার স্বীকার করলেন, টানা দুই টেস্ট খেলা শুরু থেকেই বাস্তবসম্মত ছিল না।

“আমি এখন ভালোই অনুভব করছি, কিন্তু সিরিজের বাকি অংশ নিয়ে অপেক্ষা করে দেখতে হবে,” ম্যাচ শেষে বললেন কামিন্স। “অ্যাশেজ সামনে রেখে আমরা ঝুঁকি নিয়েই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। সিরিজ জেতার সুযোগ ছিল, তাই সেটা নেওয়াটাই ঠিক মনে হয়েছে। এখন যেহেতু কাজটা হয়ে গেছে, তখন ঝুঁকি নেওয়ার দরকার আছে কি না সেটা আবার ভাবতে হবে।”

তার কথায় স্পষ্ট, মেলবোর্নে খেলার সম্ভাবনা খুবই কম। “আমি মনে করি না মেলবোর্নে খেলব। সিডনি নিয়ে পরে কথা হবে। সিরিজ চলাকালীন ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা ছিল, কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে।”

পঞ্চম দিনে জেমি স্মিথ ও উইল জ্যাকস কিছুটা আশা জাগালেও, অস্ট্রেলিয়ার হাতে শুরু থেকেই পর্যাপ্ত রান ছিল। যদিও শেষ দিনে নাথান লায়নকে হ্যামস্ট্রিং চোটে হারানো বড় ধাক্কা ছিল। তবু মিচেল স্টার্ক তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন, যার মধ্যে জ্যাকসের উইকেটটি আসে মার্নাস লাবুশেনের দুর্দান্ত ক্যাচে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা গুছিয়ে দেন স্কট বোল্যান্ড।

পুরস্কার বিতরণীতে কামিন্সের কণ্ঠে ছিল উচ্ছ্বাস, “অসাধারণ লাগছে। এটা এমন একটা সিরিজ, যেটা নিয়ে আমরা অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম। আজ সহজ ছিল না, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা কাজটা করে ফেলেছি। ড্রেসিংরুমে এখন দারুণ উত্তেজনা।” পুরো ম্যাচজুড়ে অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ের ধারাবাহিক চাপ আর ফিল্ডিং ছিল চোখে পড়ার মতো। উইকেটের পেছনে অ্যালেক্স কেরিও ছিলেন নির্ভরতার প্রতীক।

“এটাই আমাদের শক্তি,” বলেন কামিন্স। “অস্ট্রেলিয়ায় আপনি জোর করে কিছু ঘটাতে পারবেন না। এখানে অনেক সময় ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়, পুরনো ধাঁচের লড়াই। আজ সবাই যেভাবে লেগে ছিল, সেটা দারুণ। একটু বেশি কাছে চলে গিয়েছিল, তবে আমি খুশি।”

দলের মানসিকতা নিয়েও গর্ব ঝরেছে অধিনায়কের কণ্ঠে। লায়নের চোট বা নিজের অনুপস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “কিছুই কখনো নিখুঁতভাবে চলে না। সবসময় কিছু না কিছু বাধা আসে। কিন্তু এই দলটার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো ওরা থামে না। সমস্যা হলে বলে, ঠিক আছে, পরের কাজটা কী?”

নিজের প্রত্যাবর্তন নিয়ে কামিন্স যোগ করেন, “শেষ দুই মাস কঠিন ছিল। নিজেকে সব সুযোগ দিয়েছি। তবে এমন দিন পেলে সব কষ্ট সার্থক মনে হয়- ভরা গ্যালারি, অ্যাশেজ ধরে রাখা। এর চেয়ে ভালো অনুভূতি আর কী হতে পারে?”