images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম

অনূর্ধ্ব-১৯ যুব এশিয়া কাপের শুরুটা দারুণ হয়েছে বাংলাদেশের। আফগানিস্তানকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপ শুরু করেছে বাংলাদেশি যুবারা। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামে নেপালের বিপক্ষে। যেখানে আগে বল করতে নেমে ১৩০ রানেই প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫১ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে টাইগার জুনিয়ররা।

দুবাইয়ের সেভেনস স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। অধিনায়কের এই সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি সঠিক প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা।

নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের শুরুটা খারাপ হয়নি। দুই ওপেনার সাহিল প্যাটেল ও নিরাজ কুমার উদ্বোধনী জুটিতে ৪০ রান যোগ করেন। তবে ১৮ রান করা সাহিল প্যাটেলকে আউট করে জুটি ভাঙেন সাদ ইসলাম।

এরপর থেকেই নেপালের ব্যাটিং ধসে পড়ে। মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা বাংলাদেশের বোলারদের সামনে একেবারেই দাঁড়াতে পারেননি। ৫৪ থেকে ৬১ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন বংশ ছেত্রি (৪), নিরাজ কুমার (১৪), নিশ্চল শেত্রি (০) ও কিরবিন শ্রেষ্ঠ (৫)। ৪০ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর মাত্র ৬১ রানের মধ্যেই নেপাল হারায় পাঁচটি উইকেট।

এই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি নেপাল। ৮১ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। শেষ পর্যন্ত ১৩০ রানেই গুটিয়ে যায় নেপালের ইনিংস।

নেপালের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন অভিষেক তিওয়ারি। বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন সবুজ, যিনি নেন সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট।  

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন ওপেনার জাওয়াদ আবরার। তবে শুরুটা ভালো হলেও চতুর্থ ওভারে হঠাৎ বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ওই ওভারে রিফাত বেগ ও আজিজুল হাকিম তামিম আউট হয়ে যান। রিফাত ৭ বলে ৫ রান করেন এবং তামিম আউট হন মাত্র ১ বলে ১ রান করে।

এরপর জাওয়াদের সঙ্গে জুটি গড়েন কালাম সিদ্দিকী অ্যালেন। এক প্রান্ত আগলে রেখে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন জাওয়াদ। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেন কালাম। দুজনের কার্যকর ব্যাটিংয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশের ইনিংস।

চাপের মধ্যেও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলেন জাওয়াদ। তিনি তুলে নেন একটি চমৎকার ফিফটি। আগের ম্যাচেও জয়ের নায়ক ছিলেন এই ওপেনার। শেষ দিকে কালাম সিদ্দিকী অ্যালেন ৬৬ বলে ৩৪ রান করে আউট হন।

শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন জাওয়াদ আবরার। তিনি ৬৮ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন। রিজান হোসেন ৮ বলে ১২ রান করে তাকে ভালো সঙ্গ দেন। ১৫১ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ।