স্পোর্টস ডেস্ক
১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
ভারতের তিন দিনের ‘জিওএটি ট্যুর’ উপলক্ষে শনিবার ভোরে কলকাতায় পা রাখলেন লিওনেল মেসি। তবে কড়া নিরাপত্তার কারণে বিমানবন্দরে অপেক্ষায় থাকা শত শত সমর্থকের চোখ এড়িয়ে খুব দ্রুতই হোটেলের পথে রওনা হন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
ভোর প্রায় ৩টা ৩০ মিনিটে, একটি ব্যক্তিগত গালফস্ট্রিম–ভি উড়োজাহাজে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন মেসি। কালো স্যুটের ভেতরে সাদা টি–শার্টে ঝরঝরে লুকের এই তারকাকে দেখা যায় মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য- তাও হাতে গোনা কয়েকজন বিমানবন্দরকর্মীর চোখে। এরপর সরাসরি রানওয়ে থেকেই গাড়িতে তুলে নেওয়া হয় তাকে, ব্যাক এন্ট্রি দিয়ে পৌঁছে যান হোটেলে।
মেসির অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পরই যেন উত্তাল হয়ে ওঠে হায়াত রিজেন্সি কলকাতা। হোটেলের লবিতে ভোরের নিস্তব্ধতা ভেঙে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে- “মেসি! মেসি!”। করিডরজুড়ে দৌড়ঝাঁপ, উত্তেজনা আর অপেক্ষার চিত্র যেন আর্জেন্টিনার কোনো ফুটবল ঘাঁটি।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, মেসি উঠেছেন ৭৩০ নম্বর কক্ষে। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো সপ্তম তলা সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। ওই ফ্লোরে অননুমোদিত কোনো যাতায়াত রাখা হয়নি।
মেসির কক্ষের ভাড়া আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো না হলেও, হোটেলের ওয়েবসাইট অনুযায়ী ডিসেম্বর ১৩ তারিখে প্রেসিডেনশিয়াল স্যুট বুকিংয়ের জন্য খালি নেই। ওই স্যুটে রয়েছে কিচেনেট, আলাদা বসার জায়গা, কাজের কক্ষ এবং আট আসনের ডাইনিং স্পেস। ১৪ ডিসেম্বরের জন্য এর ভাড়া ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া ডিপ্লোম্যাটিক স্যুট: প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা, রিজেন্সি এক্সিকিউটিভ স্যুট: প্রায় ৫১ হাজার টাকা, রিজেন্সি স্যুট কিং: প্রায় ৩৮ হাজার টাকা। সব দিক বিবেচনায় ধারণা করা হচ্ছে, মেসি এই বিলাসবহুল স্যুটগুলোর একটিতেই অবস্থান করছেন।

হোটেল লবিতে ছড়িয়ে পড়ে আকাশি–নীল রঙের ছড়াছড়ি—জার্সি, স্কার্ফ, পতাকায় ভরে ওঠে পরিবেশ। কোলে শিশু নিয়ে অপেক্ষা করছেন মা–বাবারা, কেউ সোফায় বসে ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দিয়েছেন, আবার কেউ ছুটোছুটি করছেন একটু ঝলক দেখার আশায়। নিরাপত্তা এতটাই কড়া যে, অনেক সমর্থক মেসির কাছাকাছি থাকার আশায় হোটেলেই রুম বুক করেছেন।