images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

পূর্বাচল স্টেডিয়ামের মাটি চুরির অভিযোগ

স্পোর্টস ডেস্ক

১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৭ এএম

২০১৭ সালে পূর্বাচলে ৩৭.৫৯ একর জমি টোকেনমূল্যে সরকারের কাছ থেকে নিয়ে দেশে সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪২ হাজার ৫০০ দর্শক ধারণক্ষম এই স্টেডিয়ামের নকশা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পপুলাসকে, যার জন্য ৭.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যে ৩.১ মিলিয়ন ডলার ইতোমধ্যে পপুলাসকে পরিশোধও করেছে বিসিবি।

কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পরিবর্তনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প স্থগিত করে। ফলে স্টেডিয়াম নির্মাণের বদলে সেখানে তিনটি মানসম্পন্ন অনুশীলন মাঠ তৈরির কাজ শুরু করে বিসিবির সাবেক গ্র্যাউন্ডস কমিটি। 

এদিকে মাঠ তৈরির কাজেও বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শর্ত অনুযায়ী পূর্বাচলে ক্রিকেট পিচের জন্য মোট ২০ হাজার বর্গফুট বিশেষ ক্লে মাটি সরবরাহ করার কথা ছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উইন্ডস্টার রিসোর্সের। কিন্তু কিউরেটরের পরিমাপে দেখা গেছে, সেখানে এসেছে মাত্র ৭৭১০ বর্গফুট মাটি। অর্থাৎ ৩৬ লাখ টাকার বদলে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৮০০ টাকার সমপরিমাণ মাটিই পেয়েছে বিসিবি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির টার্ফ ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রধান অস্ট্রেলিয়ান কিউরেটর টনি হেমিং।

গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ার পর নতুন গ্র্যাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক জাতীয় দলের অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত তদন্তের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “প্রায় ২০ হাজার বর্গফুট মাটির কথা ছিল, এখানে আছে মাত্র সাড়ে ৭ হাজার। বিষয়টি আমাদের আগের সময়ের। খুব দ্রুত তদন্ত করতে চাই। কারা স্বাক্ষর করেছে, কেন করেছে- সব জানতে চাই। তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।”

পূর্বাচল ছাড়াও বান্দরবান স্টেডিয়ামেও মাটি চুরির ঘটনা নজরে এসেছে। বিসিবির এজ গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আসিফ আকবর জানান, “প্রথমবার বান্দরবান গিয়ে দেখি মাঠের এক পাশ থেকে মাটি চুরি হয়েছে। বিসিবিকে জানানোর পর জায়গাটি ভরাটের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং কাজ শুরু হয়েছে।”