স্পোর্টস ডেস্ক
০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম
আবার আলোচনায় এলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে নতুন কোনো বিতর্ক নয়, পুরোনো বোলিং অ্যাকশন ইস্যুতেই। সম্প্রতি এক পডকাস্টে তিনি জানিয়েছেন, কাউন্টি ক্রিকেটে তার অবৈধ অ্যাকশনে বোলিং করা কিছুটা ছিল ইচ্ছাকৃত।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন পরীক্ষায় সাকিবের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হয়। এরপর ইসিবির সকল প্রতিযোগিতায় তার বোলিং নিষিদ্ধ হয়। নিয়ম অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও এই নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হয়।
বিয়ার্ড বিফোর উইকেট পডকাস্টে সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয় ইচ্ছা করেই একটু করেছিলাম। কারণ ওই ম্যাচে প্রায় ৭০ ওভার বল করেছিলাম। টেস্টেও এত ওভার কখনও করিনি। প্রচণ্ড ক্লান্ত ছিলাম।’
তিনি জানান, পাকিস্তান সিরিজে টানা দুই টেস্ট খেলার পরই সারির হয়ে চার দিনের ম্যাচ খেলতে যান, যা তাকে আরও ক্লান্ত করে তোলে। সাকিবের ভাষায়, ‘আম্পায়ার চাইলে আগে সতর্ক করতে পারতো। তবে নিয়ম অনুযায়ী তারা ঠিকই করেছে। আমি অভিযোগ করিনি।’
পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর নিজের ভিডিও দেখে তিনি বুঝতে পারেন কোথায় সমস্যা। এরপর কয়েক সপ্তাহ অনুশীলন করে আবার সারির সহায়তায় আগের অ্যাকশনে ফিরে আসেন। ‘মনে হলো, এ তো খুব সহজ!’ যোগ করেন সাকিব।
গত মৌসুমে সারির হয়ে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি, যেখানে দুই ইনিংসে মোট ৬৩.২ ওভার বল করেন। চলতি বছর লাফবোরোতে তৃতীয়বারের মতো অ্যাকশন টেস্ট দিয়ে তিনি পুনরায় বোলিংয়ের অনুমতি পেয়েছেন। যদিও চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে রাখেনি বিসিবি। তবে বোর্ড জানিয়েছে, ব্যাটার হিসেবে সব ধরনের ক্রিকেট খেলতে তিনি সম্পূর্ণ প্রস্তুত।