images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

ইংলিশ পেসারদের সামলে অস্ট্রেলিয়ার লিড

স্পোর্টস ডেস্ক

০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম

ব্যাট হাতে ভালো শুরু পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সবাই। কিন্তু এখন পর্যন্ত ফিফটির দেখা পেয়েছেন কেবল তিনজন। ইংল্যান্ডের পেস তোপের বিপরীতে ওয়ানডে মেজাজের ব্যাটিংয়ে ৪৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে স্বাগতিকরা। হাতে আছে ৪ উইকেট।

শুক্রবার ব্রিসবেনে দিবা-রাত্রির দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩৭৮ রান। এর আগে ৩৩৪ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। প্রথম বলেই জীবন পাওয়া অ্যালেক্স ক্যারি ৪৬ ও মাইকেল নিসার ১৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। সপ্তম উইকেটে তারা এখন পর্যন্ত ৪৯ রান যোগ করেছেন।

৯ উইকেটে ৩২৫ রান দিনের খেলা শুরু করা ইংল্যান্ডের ইনিংসের স্থায়িত্ব ছিল ১৪ বল। ব্রেন্ডন ডগেটের করা দিনের তৃতীয় ওভারে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে মার্নাস লাবুশেন জোফরা আর্চারের (৩৮) দুর্দান্ত ক্যাচ নিলে ভাঙে দশম উইকেটে ৭০ রানের জুটিটি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে জো রুট অপরাজিত থাকেন ১৩৮ রানে। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের সফলতম এই ব্যাটারের এটি ছিল ৪০তম শতক।

ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ট্র্যাভিস হেড ও জেইক ওয়েদারল্ড। তবে হেডকে (৩৩) ফিরিয়ে ৭৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ব্রাইডন কার্স। ৪৫ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন ওয়েদারল্ড। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১ উইকেটে ১৩০ রান নিয়ে প্রথম সেশনের বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।

410148

বিরতির পর আর্চারের দুর্দান্ত এক ইয়োর্কারে ওয়েদারল্ড (৭২) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়লে ভাঙে দ্বিতীয় উইকেটে লাবুশেনের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটিটি। এরপর ৬৭ বলে ফিফটি তুলে নেন লাবুশেন। ৬৫ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটারকে ফেরান বেন স্টোকস।

ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে ফ্লাডলাইটের আলোর নিচে প্রথম ঘণ্টাটা কোনো বিপদ ছাড়াই পার করেন স্টিভেন স্মিথ। অজি অধিনায়ক ক্যারিয়ারের ৪৪তম ফিফটি তুলে নেন। ফিফটির পথে ছিলেন গ্রিনও। কিন্তু ৪৫ রান করা এই ব্যাটারকে বোল্ড করে চতুর্থ উইকেটে ৯৫ রানের জুটিটি ভাঙেন কার্স। এখন পর্যন্ত এটিই ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি।

তিন বল পর উইল জ্যাকসের এক হাতের দুর্দান্ত ক্যাচে স্মিথকেও (৬১) তুলে নেন কার্স। এরপর অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরার সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ইংল্যান্ড। চারটি ক্যাচ ছাড়েন ফিল্ডাররা। জশ ইংলিসের (২৩) বিদায়ের পর বাকিটা সময় কোনো বিপদ ছাড়াই পার করেন ক্যারি।