images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ রউফ, শাস্তি পেয়েছেন সূর্যকুমার-বুমরাহও

স্পোর্টস ডেস্ক

০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৪ এএম

এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলোর উত্তেজনা এবার মাঠ ছাড়িয়ে পৌঁছেছে শাস্তির পর্যায়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) জানিয়েছে, পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফ পেয়েছেন দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা, আর ভারতের সূর্যকুমার যাদব ও জাসপ্রিত বুমরাহ পেয়েছেন শৃঙ্খলাভঙ্গের শাস্তি। 

রউফ ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচে (১৪ ও ২৮ সেপ্টেম্বর) আইসিসির আচরণবিধি ভঙ্গ করেছিলেন। কোড অব কনডাক্টের ২.২১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, তাঁর আচরণ খেলাধুলার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। দুইবারই অভিযোগ অস্বীকার করায় শুনানির পর তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ২৪ মাসে চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট জমা হওয়ায় তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ খেলতে পারবেন না রউফ, তৃতীয় ম্যাচে ফিরবেন তিনি।

একই ঘটনায় ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকেও একই অনুচ্ছেদে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর তাঁর মন্তব্যকে আইসিসি “গেমের মর্যাদা ক্ষুণ্নকারী” বলে অভিহিত করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে দুইটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে।

এছাড়া পাকিস্তানের সাহিবজাদা ফারহান পেয়েছেন একটি সতর্কবার্তা ও এক ডিমেরিট পয়েন্ট, আর ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ পেয়েছেন এক ডিমেরিট পয়েন্ট ফাইনালে “অযথাযথ ইঙ্গিত” করার জন্য। ভারতের আর্শদীপ সিং অভিযুক্ত হলেও শুনানিতে দোষমুক্ত হন।

এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান তিন ম্যাচেই উত্তেজনা তুঙ্গে ছিল। রাজনৈতিক টানাপোড়েন মাঠের আচরণেও দেখা দেয়—ভারতীয় খেলোয়াড়রা কোনো ম্যাচেই পাকিস্তান দলের সঙ্গে হাত মেলাননি, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগা। তিনি বলেন, “এটা খেলাধুলার চেতনার পরিপন্থী।”

এর জবাবে সূর্যকুমার বলেন, “কিছু কিছু বিষয় আছে, যা স্পোর্টসম্যানশিপের চেয়ে বড়।”

বিতর্ক চরমে পৌঁছে পাকিস্তান এক পর্যায়ে টুর্নামেন্ট থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দেয়। তারা ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে দায়ী করে দাবি করে, তিনি নাকি খেলোয়াড়দের হাত মেলাতে নিষেধ করেছিলেন। তবে আইসিসি বিষয়টি অস্বীকার করে।

শেষ পর্যন্ত ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শেষ ওভারে রোমাঞ্চকর জয় পায় ভারত। তবে পুরস্কার বিতরণীতে নতুন নাটক ঘটে—ভারতীয় খেলোয়াড়রা ট্রফি নিতে অস্বীকার করেন, কারণ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি ও পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি নিজে ট্রফি দিতে জোর করছিলেন। ফলে ট্রফি ছাড়াই উদযাপন করতে হয় ভারতকে, এবং এখনো তারা সেই ট্রফি পায়নি।