স্পোর্টস ডেস্ক
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১০ পিএম
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব ছাড়ার আগে রেখে যাচ্ছে প্রায় ১,৩৯৮ কোটি টাকা। এ অর্থের মধ্যে রয়েছে এফডিআর, ব্যাংক জমা এবং হাতে থাকা নগদ অর্থ। এছাড়াও বোর্ডের ৪০ কোটি টাকার মতো পাওনা রয়েছে বিভিন্ন পক্ষের কাছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের শেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভা শেষে রাতের সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের আর্থিক অবস্থার হালনাগাদ তথ্য জানান পরিচালক ইফতেখার রহমান।
তিনি বলেন, “১৩৯৮ কোটি টাকা রেখে যাচ্ছি। এফডিআর, ইন-হ্যান্ড ক্যাশ, ক্যাশ ইন ব্যাংক মিলিয়ে। এছাড়াও প্রায় ৪০ কোটি টাকা অনাদায়ী রয়েছে।”
২০২১ সালের বিসিবি নির্বাচনের পর গঠিত বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্বে থাকাকালীন তিনজন সভাপতি পেয়েছে। প্রথমে দায়িত্বে ছিলেন নাজমুল হাসান পাপন, যিনি টানা তিন মেয়াদে সভাপতি ছিলেন। এরপর দায়িত্ব পান সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ, যিনি মাত্র ৯ মাস ছিলেন পদে। বর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার সভাপতিত্বেই শেষ বোর্ড সভাটি হয়।
সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়, কিন্তু শুরু হয় রাত ৯টায় এবং চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। সভা দীর্ঘ হওয়ার মূল কারণ ছিল আসন্ন বিসিবি নির্বাচনের কাউন্সিলর অনুমোদন নিয়ে সৃষ্টি হওয়া জটিলতা।
সভায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়েও আলোচনা হয়। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল আয়োজনে আগ্রহ থাকলেও নির্বাচনের ব্যস্ততায় এখনও ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত হয়নি। সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচন নিয়েও রয়েছে জটিলতা, ফলে নির্ধারিত সময়ে বিপিএল আয়োজনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
তবে ইফতেখার রহমান জানান, “আমরা টার্গেট করছি ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল হবে। তবে কাজগুলো পরবর্তী বোর্ডের ওপর নির্ভর করবে।”
তিনি আরও জানান, বিপিএলের প্রথম আসর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ১৮টি পক্ষের কাছে বোর্ডের অর্থ পাওনা রয়েছে। এসব পাওনা আদায়ে আরবিট্রেশন প্রক্রিয়া চলছে।