স্পোর্টস ডেস্ক
৩১ জুলাই ২০২৫, ১১:০১ এএম
২০১৮ সালে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকেই পাঁচ উইকেট নিয়ে আলোচনায় আসেন নাঈম হাসান। এরপর মূলত লাল বলের ক্রিকেটেই বেশি দেখা গেছে এই অফস্পিনারকে। তবে নিয়মিত খেলার সুযোগ সীমিত হয়েছে তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের দাপটে। এখনো জাতীয় দলের জার্সিতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি তার।
তবে নাঈম বলছেন, তিনি নিজেকে তিন ফরম্যাটে খেলার উপযোগী করে গড়ে তুলছেন। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন,‘আমি নিজেকে তিন ফরম্যাটে খেলার মতো করে প্রস্তুত করছি। এখন জাতীয় দলে একটা ফরম্যাটে খেললেও, প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএল—সব জায়গাতেই খেলছি আলহামদুলিল্লাহ। যদি শুধু এক ফরম্যাটে খেলার মতো হতোাম, তাহলে শুধু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেই সীমাবদ্ধ থাকতাম। আমি সব ফরম্যাট মাথায় রেখেই নিজেকে তৈরি করছি।’
সামনে বাংলাদেশ এইচপি ও ‘এ’ দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে একটি দল অস্ট্রেলিয়ায় টপ-এন্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে যাবে। এখনো স্কোয়াড ঘোষণা না হলেও, দলে জায়গা পাওয়ার ব্যাপারে দারুণ আগ্রহী নাঈম। তিনি মনে করেন, নতুন কন্ডিশনে খেলে ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা যাবে।
নাঈম বলেন,‘অস্ট্রেলিয়া আমাদের জন্য একেবারেই নতুন কন্ডিশন। কখনোই ওখানে খেলার সুযোগ হয়নি। যদি আমাকে দলে রাখা হয়, অবশ্যই যাবো। বাইরের দেশের খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলব, কন্ডিশন বুঝব, কীভাবে খেলতে হয় তা শিখতে পারব। “এ” দলে যেসব খেলোয়াড় থাকে, তারা ভবিষ্যতের জাতীয় দলের ক্রিকেটার। তাদের সঙ্গে খেললে একধরনের চ্যালেঞ্জ আসে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই নিজেকে প্রস্তুত করতে পারি।’
ভবিষ্যতে জাতীয় দলের সফরে অস্ট্রেলিয়া গেলে এই অভিজ্ঞতা বড় কাজে দেবে বলে মনে করেন তিনি। ‘এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে দেবে। যখন জাতীয় দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে যাবো, তখন এই কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা কাজে লাগবে।’
সামনে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় দুটি আসর। সেখানে বাংলাদেশ দল ভালো করবে বলেই বিশ্বাস নাঈমের। ‘আলহামদুলিল্লাহ, বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল খুব ভালো খেলছে। আমি বিশ্বাস করি, ওরা বড় আসরেও ভালো করবে ইনশাআল্লাহ। টি-টোয়েন্টি অল্প সময়ের খেলা, যদি মোমেন্টাম পায় তাহলে বাংলাদেশ অবশ্যই ভালো কিছু করবে।’