স্পোর্টস ডেস্ক
৩০ জুলাই ২০২৫, ১১:০৪ এএম
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওডিআই সিরিজে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া দলে সুযোগ পেলেন মিচেল ওয়েন। টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত শুরুর পর এবার ৫০ ওভারের ফরম্যাটেও দেখা যাবে তাকে। সেই সঙ্গে ওডিআই দলে ফিরেছেন পেসার ল্যান্স মরিস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে বিশ্রামে থাকা ট্র্যাভিস হেড ও জশ হ্যাজলউড দুই ফরম্যাটেই (ওডিআই ও টি-টোয়েন্টি) ফিরেছেন। চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন ম্যাট শর্টও। তবে প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ককে রাখা হয়নি, তারা বিশ্রামে থাকবেন। এই দুই সিরিজেই দলের নেতৃত্বে থাকবেন মিচেল মার্শ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকেই ঝলক দেখান ওয়েন, জ্যামাইকার মাঠে ব্যাটিংয়ে নামা এই অলরাউন্ডার করেন হাফসেঞ্চুরি, পুরো সিরিজে তার সংগ্রহ ছিল ১২৫ রান, স্ট্রাইকরেট ১৯২.৩০। একদিনের ঘরোয়া ম্যাচেও তার ঝলক ছিল নজরকাড়া, গত মৌসুমে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৯ বলে ১৪৯ রান করেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সময়ই কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মার্নাস লাবুশেন টেস্ট দলে জায়গা হারালেও ওডিআই স্কোয়াডে থাকবেন। সেটা সত্যি হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ী স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, অ্যারন হার্ডি, কুপার কনলি ও জ্যাভিয়ার বার্টলেট। তবে বার্টলেটকে ওডিআই দলে রাখা হয়েছে।
ম্যাট শর্টের চোটের পর শেষ মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছিলেন ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, খেলেছিলেন মাত্র এক ম্যাচ। কনলি দুই ইনিংসে করেছিলেন ১৩ ও ০ রান, নিয়েছিলেন একটি উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক কমিটির প্রধান জর্জ বেইলি বলেন, "টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে আমরা দলে দারুণ গভীরতা ও নমনীয়তা দেখেছি। ব্যাটিং অর্ডারের ভিন্ন পজিশনে খেলানোর পাশাপাশি বোলারদের বিভিন্ন সময়ে বল করানো, সবকিছুই ইতিবাচক ছিল।" তিনি আরও যোগ করেন, "ওউয়েন ও ম্যাট কুহনেমানের অভিষেক, আর নাথান এলিসের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।"
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর অস্ট্রেলিয়ার সর্বশেষ ওডিআই স্কোয়াড থেকে ছিটকে গেছেন ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, কনলি, হার্ডি, শন অ্যাবট ও তানভির সাঙ্গা। ইনজুরির কারণে বাইরে আছেন স্পেন্সার জনসন। স্মিথ ও ম্যাক্সওয়েলের ওডিআই থেকে অবসরের পর এটি অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ৫০ ওভারের সিরিজ।
বেইলি বলেন, "ট্র্যাভিস হেড ও হ্যাজলউড দলে ফিরেছেন বলে কিছু খেলোয়াড় এবার স্কোয়াডে নেই। তবে তারা এখনো আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ। আমরা চাই সিরিজগুলোয় সুযোগ নেওয়ার এই মনোভাব যেন খেলোয়াড়দের মধ্যে অব্যাহত থাকে।" তিনি আরও জানান, বছরের পরের অংশে নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে সিরিজে খেলোয়াড়দের জন্য নতুন করে সুযোগ তৈরি হবে এবং তা সামনের টেস্ট মৌসুমের প্রস্তুতিও হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে ১০ ও ১২ আগস্ট ডারউইনে দুটি টি-টোয়েন্টি দিয়ে। ১৬ আগস্ট কেয়ার্নসে হবে শেষ টি-টোয়েন্টি, সেখানেই শুরু হবে ওডিআই সিরিজ- প্রথম ম্যাচ ১৯ আগস্ট। এরপর ২২ ও ২৪ আগস্ট ম্যাককেতে হবে বাকি দুটি ম্যাচ।
অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড
মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, টিম ডেভিড, বেন ডোয়ারশুইস, নাথান এলিস, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হ্যাজলউড, ট্র্যাভিস হেড, জশ ইংলিস, ম্যাট কুহনেমন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল ওউয়েন, ম্যাথিউ শর্ট, অ্যাডাম জ্যাম্পা
অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: ওডিআই স্কোয়াড
মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), জ্যাভিয়ার বার্টলেট, অ্যালেক্স ক্যারে, বেন ডোয়ারশুইস, নাথান এলিস, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হ্যাজলউড, ট্র্যাভিস হেড, জশ ইংলিস, মার্নাস লাবুশেন, ল্যান্স মরিস, মিচেল ওউয়েন, ম্যাথিউ শর্ট, অ্যাডাম জ্যাম্পা