স্পোর্টস ডেস্ক
২৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম
চেলসি ছেড়ে সৌদি প্রো লিগের দল আল নাসরে পাড়ি জমালেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড জোয়াও ফেলিক্স। সেখানে তিনি একসঙ্গে খেলবেন জাতীয় দলের সতীর্থ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং লিভারপুলের সাবেক ফরোয়ার্ড সাদিও মানের সঙ্গে।
গত মৌসুমেই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে ধারে চেলসিতে যোগ দিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার। তবে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে তেমন কোনো প্রভাব রাখতে পারেননি তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ধারে চলে যান এসি মিলানে।
চেলসির হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ২০ ম্যাচে সাত গোল করেন ফেলিক্স। এরপর এসি মিলানের হয়ে ২১ ম্যাচে তিন গোল করেন। কিন্তু তাতেও মিলান তাকে স্থায়ীভাবে রাখতে আগ্রহ দেখায়নি।
তরুণ বয়সে বেনফিকার হয়ে ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর নজর কাড়েন। ১৯ বছর বয়সেই পর্তুগিজ লিগে ২৬ ম্যাচে করেন ১৫ গোল। এরপর রেকর্ড ১১১ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে যোগ দেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে।
সেখানে ১৩১ ম্যাচে করেন ৩৪ গোল, অ্যাসিস্ট করেন ১৮টি। ২০২০-২১ মৌসুমে লা লিগা জয়ের স্বাদ পান দলটির হয়ে। তবে তিন বছর পর তাকে ‘অতিরিক্ত’ খেলোয়াড় বিবেচনা করে ক্লাব, এবং তিনি ধারে যোগ দেন চেলসিতে।
চেলসির হয়ে প্রথম ম্যাচেই লাল কার্ড দেখে বিতর্কে জড়ান, যদিও শুরুটা ভালোই করেছিলেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ১৬ ম্যাচে চার গোল করেন। পরে বার্সেলোনায় ধারে যান, সেখানেও ৪৪ ম্যাচে করেন ১০ গোল।
চেলসি আবার তাকে স্থায়ীভাবে দলে নেয় এবং দ্বিতীয় দফায় ফিরেই গোল করেন উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে, যেখানে তার গোলটি আসে সতীর্থ পেদ্রো নেতোর পাস থেকে। তবে প্রিমিয়ার লিগে সেটিই ছিল দ্বিতীয় দফায় তার একমাত্র গোল। ইউরোপা কনফারেন্স লিগে করেন পাঁচ ম্যাচে চার গোল।
এখন পর্যন্ত পর্তুগালের হয়ে ৪৫ ম্যাচে ৯ গোল রয়েছে তার নামের পাশে। জাতীয় দলের হয়ে তিনি ২০১৮-১৯ এবং ২০২৪-২৫ সালের উয়েফা নেশন্স লিগ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন।
এই গ্রীষ্মে ফেলিক্স চেলসি ছাড়লেন অষ্টম খেলোয়াড় হিসেবে। এর আগে ননি মাদুয়েকে, জর্জে পেত্রোভিচ, ম্যাথিয়াস আমুগু, বশির হামফ্রিস, কেপা আরিজাবালাগা, মার্কাস বেটিনেল্লি এবং লুকাস বার্গস্ট্রম ক্লাব ছেড়েছেন।