স্পোর্টস ডেস্ক
২৯ জুলাই ২০২৫, ০২:০৪ পিএম
অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নেথান লায়ন সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান সফরের শেষ টেস্টে না খেলায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি বুঝতে পারছেন কেন নির্বাচকরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মতে, পেছন ফিরে তাকালে সেটিই ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত।
২০১৩ সালের পর ইনজুরি ছাড়া আর কখনও টেস্ট একাদশ থেকে বাদ পড়েননি লায়ন। কিন্তু সবশেষ সফরের তৃতীয় টেস্টে জ্যামাইকায় সাবিনা পার্কে গোলাপি বলের ম্যাচে চার পেসার নিয়ে মাঠে নামে অস্ট্রেলিয়া। কারণ সেখানকার কন্ডিশন এতটাই কঠিন ছিল যে একজন স্পিনার না রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
মেলবোর্নে তার বিগ ব্যাশ দল মেলবোর্ন রেনিগেডসের একটি কর্পোরেট ইভেন্টে হাজির হয়ে প্রথমবারের মতো এই বিষয়ে কথা বলেন লায়ন। তিনি বলেন, "লুকিয়ে রাখার কিছু নেই, আমি হতাশ ছিলাম। তবে সিদ্ধান্তটা বুঝতে পেরেছি।"
হতাশ হওয়ার একাধিক কারণের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রথমত, আমি মনে করি যেকোনো কন্ডিশনে আমি দলের জন্য ভূমিকা রাখতে পারি, এখনো সেটা বিশ্বাস করি। আর দ্বিতীয়ত, মিচেল স্টার্কের শততম টেস্টে তার সঙ্গে মাঠে নামতে পারিনি, এটা খুব কষ্ট দিয়েছে। আমি প্রায় ৯০টা টেস্ট খেলেছি স্টার্কের সঙ্গে। ওর ১০০তম ম্যাচে একসঙ্গে খেলাটা দারুণ কিছু হতো। যদিও আমি দলের সঙ্গে ছিলাম, পানি টানছিলাম, তবুও সেটা খেলতে পারাটা আলাদা ব্যাপার।”

তিনি আরও বলেন, “আমি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সব ম্যাচ খেলতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, যেকোনো কন্ডিশনে আমি পারফর্ম করতে পারি- প্রতিটি ক্রিকেটারেরই এমন আত্মবিশ্বাস থাকা উচিত। তবে দিনের শেষে বলা যায়, ওরা (নির্বাচকরা) সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর যদি আমি এক ম্যাচ মিস করি, তাহলে সেটা স্কট বোলান্ডের জন্য হওয়াই ভালো। সে দুর্দান্তভাবে বল করেছিল। হ্যাটট্রিকও করেছে। প্রতিপক্ষকে ২৭ রানে অলআউট করা ছিল অসাধারণ এক মুহূর্ত।”
এই সিদ্ধান্ত ঘিরে নতুন করে আলোচনাও শুরু হয়েছে। বিশেষ করে আসন্ন অ্যাশেজে এমন কিছু কন্ডিশন হলে আবারও কি লায়নকে বাইরে রাখবে অস্ট্রেলিয়া? ২০১২ সালের হোবার্টের গোলাপি বল টেস্টে এক ওভারও বল করেননি লায়ন। গত বছর অ্যাডিলেডেও ভারতের বিপক্ষে মাত্র এক ওভার বল করেছিলেন। এ কারণেই এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে মত অনেকের।
তবু লায়নের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি নেই। অ্যাশেজের প্রথম তিন ভেন্যু পার্থ, গ্যাবা আর অ্যাডিলেডে তার রেকর্ড দুর্দান্ত। তিনি বলেন, “আমি দলে নিজের জায়গা নিয়ে চিন্তিত না। কারণ আমার ভূমিকা দল জানে। যে কারণে আমি বাদ পড়েছিলাম, সেটা কন্ডিশনের কারণে। এখন আমার পুরো ফোকাস ফিটনেস আর স্কিল উন্নতির দিকে, যাতে শিল্ডের প্রথম তিন ম্যাচে ভালো খেলতে পারি এবং পার্থ টেস্টের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারি। আমি পার্থে বল করতে পছন্দ করি, আসলে পুরো অস্ট্রেলিয়াতেই বল করা উপভোগ করি। তাই আমার নিজের ওপর কোনো সন্দেহ নেই।”