images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

অজিদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়ে হতাশ ক্যারিবীয় অধিনায়ক

স্পোর্টস ডেস্ক

২৯ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৩ পিএম

ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটাকে ভুলেই যেতে চাইবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্ট সিরিজে বাজেভাবে হারের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ক্যারিবীয়রা। অজিদের কাছে ৫-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হওয়ার পর ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই প্রধান কারণ হিসেবে তুলে ধরলেন স্বাগতিক অধিনায়ক শাই হোপ। টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচেও সেন্ট কিটসে তিন উইকেটে হার মানে ক্যারিবিয়ানরা।

শেষ ম্যাচে মাত্র ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যা পুরো সিরিজে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। যদিও পাওয়ারপ্লেতে অজিদের ৬০ রানে ৪ উইকেটে তুলে নিয়ে ভালো শুরু করেছিল তারা। পরে আকিল হোসেইন ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন দলকে। তবে ম্যাচের মাঝপথে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন আলজারী জোসেফ, যেটি বড় ধাক্কা দেয় ক্যারিবিয়ানদের বোলিং আক্রমণে।

প্রথম তিন ম্যাচেই ব্যাটিং ইনিংসের শুরুটা ছিল আশাব্যঞ্জক। প্রথম ম্যাচে ১৩তম ওভারে ১২৩/১ থেকে স্কোর গিয়ে থেমেছে মাত্র ১৮৯-এ। দ্বিতীয় ম্যাচে ৬৩/০ থেকেও শেষ স্কোর ১৭২/৮। সেন্ট কিটসে এসে হোপ-কিংয়ের ১২৫ রানের উদ্বোধনী জুটি সত্ত্বেও মাঝের ব্যাটাররা ছন্দ হারিয়েছেন। শেষ দুটি ম্যাচে একটু ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত মিলেছিল, ৬৭/৪ থেকে ২০৫/৯, আর ৩২/৩ থেকে ১৭০ রানে পৌঁছেছিল দল। কিন্তু প্রতিবারই নির্দ্বিধায় ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

404123.4

ম্যাচ শেষে হোপ বলেন, “আমরা পুরো সিরিজে কখনোই সঠিকভাবে ব্যাটিং করতে পারিনি। কখনো ভালো শুরু করেও শেষ করতে পারিনি, কখনো আবার বিপরীত। অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে খেলতে হলে পুরো ইনিংস জুড়ে ভালো খেলতে হয়। একটা দল হিসেবে আমরা ব্যাট হাতে বড় স্কোর গড়ার মতো ভিত্তি দিতে পারিনি। সেখানেই মূলত পিছিয়ে পড়েছি। পুরো সময়ই আমরা যেন ধাওয়া করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।”

মজার ব্যাপার, পুরো সিরিজে একবারও টসে জিততে পারেননি হোপ। সবগুলোতেই জয়ী ছিলেন মিচেল মার্শ। হোপ বলেন, “আমরা সবাই জানি, ক্যারিবিয়ানে রান তাড়া করাটাই সুবিধাজনক। কন্ডিশন অনুযায়ী সেটা যুক্তিসঙ্গত। টার্গেট সামনে থাকলে রান তাড়া সহজ হয়। কিন্তু টস আমার নিয়ন্ত্রণে নেই, দুর্ভাগ্যবশত একটাও জিতিনি।”

404355.4

যদিও সিরিজটা হারলেও বোলিং ইউনিটের কিছু পারফরম্যান্সে স্বস্তি পাচ্ছেন হোপ। তরুণ পেসার জেডিয়াহ ব্লেডস চতুর্থ ম্যাচে তিন উইকেট নেন। শেষ ম্যাচে চোট পাওয়ার আগে জোসেফও ভালো বল করেন। হোসেইনও দারুণ চার ওভারের স্পেলে আলো ছড়ান। “এই উইকেটে স্পিন করাটা চ্যালেঞ্জিং। তবুও হোসেইনকে আমরা ব্যাক করেছি এবং ও নিজেকে প্রমাণ করেছে,” বলেন হোপ। “আমাদের রান কম থাকলেও, শেষদিকে যে লড়াইটা ছেলেরা দেখিয়েছে, সেটা প্রশংসার দাবিদার। তবে রান কম হলে ফিল্ডিংয়ে একদম নিখুঁত হতে হয়, আর সেটা আমাদের পক্ষে হয়নি।”

হতাশার এক সিরিজের পর দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার সুযোগ নেই ক্যারিবিয়ানদের। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে ফ্লোরিডায় পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে। সেই সিরিজ নিয়ে হোপ বলেন, “এই সিরিজ থেকে বোলিং ইউনিট নিয়ে আমরা কিছুটা পরিষ্কার হয়েছি। প্রথমদিকে যেটা পারিনি, সেটাই পরে ভালোভাবে করেছি। এই সিরিজটা পেছনে ফেলতে হবে, পাকিস্তান সিরিজের দিকে তাকাতে হবে, সেখানেই ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে।”