স্পোর্টস ডেস্ক
২৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম
ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ভারতের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্টে বল হাতে দারুণ কিছু করতে পারেননি ইংল্যান্ডের পেসার ব্রাইডন কার্স। উল্টো বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে তার নাম। দ্বিতীয় ইনিংসের এক পর্যায়ে তার বল থামানোর একটি ভঙ্গি ঘিরে উঠেছে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ যা ক্রিকেটের সবচেয়ে গুরুতর অপরাধগুলোর একটি।
ঘটনাটা ঘটেছে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের ১২তম ওভারে। শুবমান গিল কার্সকে টানা দুইটি চার মারার পর পরই বিষয়টি নজরে আসে। তখন ডিউক বলে পুরনোভাব দেখা যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় কার্স ফলো থ্রুতে গিয়ে বল থামান, তবে তা হাত বা পা দিয়ে নয়। বরং তিনি যেন ইচ্ছা করেই পা দিয়ে বলের ওপর চাপ দেন।
এমনভাবে পা দিয়ে বল থামানো ক্রিকেটে অস্বাভাবিক কিছু না। তবে কার্সের আচরণ দেখে মনে হয়েছে তিনি শুধু বল থামানোর চেষ্টা করেননি, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে বলের এক পাশ ঘষে নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। ম্যাচ চলাকালে স্কাই স্পোর্টসের ধারাভাষ্যে রিকি পন্টিং বলেন, “কার্সের শেষ ওভারের সময়ের ঘটনা এটা। তিনি বল থামান এবং তারপর… ওপস! পা দিয়ে চকচকে পাশে দুইবার চাপ (স্পাইক) দেন।”
পন্টিংয়ের এই মন্তব্যে ঘটনাটিকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা শুরু করে ক্রিকেটবিশ্ব। কারণ, ইনিংসের সেই সময়ে বল পুরনো হয়ে গিয়েছিল, আর স্পিনারদের আক্রমণে আনার প্রস্তুতিও নিচ্ছিল ইংল্যান্ড। এই অবস্থায় কেউ যদি বলের এক পাশে ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষত তৈরি করেন, তাহলে সেটি পরে ‘রিভার্স সুইং’ করাতে সাহায্য করতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা।

বল টেম্পারিং বর্তমানে ক্রিকেটে অন্যতম গুরুতর অপরাধ। সামান্য সন্দেহেও খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে তদন্তে নামছে কর্মকর্তারা। স্মরণ করিয়ে দেওয়া যায়, ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে স্যান্ডপেপার ব্যবহার করে বলের অবস্থা বদলানোর চেষ্টা করায় স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার এবং ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে নিষেধাজ্ঞা ও আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল।
কার্স এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগের মুখোমুখি হননি। তবে তার পায়ের সেই মুহূর্তটি নিয়ে আলোচনা থামছে না। মাঠে এমন আচরণ যে কতটা স্পর্শকাতর বিষয়, তা ক্রিকেটপ্রেমীদের অজানা নয়। এখন দেখার বিষয়, এই ঘটনা তদন্তের পর্যায়ে গড়ায় কি না।