images

স্পোর্টস / ফুটবল

যে কারণে বার্সেলোনায় রাশফোর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক

২৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৫ পিএম

এই সপ্তাহের শুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কাস রাশফোর্ডকে ধারে দলে ভেড়াল বার্সেলোনা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে এক মৌসুমের জন্য ধারে যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের এই ফরোয়ার্ড। বয়স ২৭, বার্সেলোনার উইং শক্তিশালী করাই ছিল এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে তাদের অন্যতম লক্ষ্য, সেই জায়গাটাতেই এলেন রাশফোর্ড।

তবে এই পজিশনের জন্য খেলোয়াড় খুঁজে পাওয়া মোটেই সহজ ছিল না কাতালান ক্লাবটির জন্য। অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে ভুগতে থাকা বার্সা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল স্প্যানিশ উইঙ্গার নিকো উইলিয়ামসকে দলে ভেড়ানোর ক্ষেত্রে। চুক্তির শর্তও প্রায় চূড়ান্ত ছিল। কিন্তু নাটকীয়ভাবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত বদলে নিকো অ্যাথলেটিক ক্লাবের সঙ্গে ১০ বছরের নতুন চুক্তিতে সই করে ফেলেন।

কাতালান দৈনিক মুন্দো দেপোর্তিভো-এর বরাতে জানা গেছে, বার্সেলোনা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা রাশফোর্ডকে নিয়ে জানিয়েছেন, ধারে এলেও রাশফোর্ডকে স্থায়ীভাবে কেনার সুযোগ রাখা হয়েছে এই চুক্তিতে।

লাপোর্তা বলেন, “আমরা খুব খুশি, কারণ এমন একজন মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আসছে যে দারুণ বয়সে আছে এবং বার্সায় খেলার জন্য অসম্ভব মোটিভেটেড। আমি নিজেই দেখেছি, সে কতটা আগ্রহ নিয়ে এসেছে। ওর একটা বড় গুণ হচ্ছে ওর সততা। তার আজীবন স্বপ্ন ছিল ম্যানইউতেই খেলা। সাত বছর বয়সে ক্লাবে যোগ দেয়, ওখানেই বড় হয়েছে। ‘ওয়ান ক্লাব ম্যান’ হতে চেয়েছিল। এমন কথা কেউ যখন খোলামেলাভাবে বলে, সেটা ভালোই লাগে।”

“কিন্তু তার জীবনে এমন একটা পরিস্থিতি এসেছে, যা সে নিজেও ভাবেনি। এই পরিস্থিতিতে বার্সাই ছিল তার পছন্দের ক্লাব। আমাদের বিপক্ষেও খেলেছে, সবসময় নজরে রেখেছিল বার্সাকে। এক পর্যায়ে অ্যাস্টন ভিলায় ধারে গিয়েছিল, যাতে সবাই দেখতে পায় সে ইংল্যান্ডের সেরা খেলোয়াড়। এখন সে বলছে, তার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য বার্সার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা, আর ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ। ও এখন অসম্ভব মোটিভেটেড। যেন পাথরের মতো শক্ত হয়ে এসেছে। সতীর্থদের সঙ্গেও দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছে।”

“দু’বছর আগে ইউরোপা লিগে আমাদের বিপক্ষে সে যেভাবে খেলেছিল, তাতেই বোঝা গিয়েছিল সে কতটা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। তখন থেকেই তার প্রতি একটা ভালো লাগা তৈরি হয়। এখন তাই তাকে পেয়ে আমি দারুণ খুশি।”

রাশফোর্ড যদি নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে বার্সা নিশ্চিতভাবেই তাকে স্থায়ীভাবে দলে রাখার দিকে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, কাতালানদের স্বপ্নপূরণে ইংলিশ ফরোয়ার্ড কতটা অবদান রাখতে পারেন।