images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

ম্যানচেস্টারে সেঞ্চুরি করে ব্র্যাডম্যান-গাভাস্কারের পাশে গিল

স্পোর্টস ডেস্ক

২৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম

ভারত যখন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুতেই শুন্য রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে তখন ম্যাচ তো বটেই, সিরিজটাই যেন হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল। এমন চাপের মুহূর্তে মাঠে নামেন শুবমান গিল। অধিনায়ক হিসেবে প্রশ্নের মুখে, ব্যাটসম্যান হিসেবেও দায়িত্ব কাঁধে। এই দ্বৈত চাপে দাঁড়িয়ে গিল খেলেন ক্যারিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় ইনিংস- দৃঢ়চেতা এক সেঞ্চুরি, যা ভারতকে আবার খেলায় ফিরিয়ে আনে।

চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন গিল। কেএল রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে দুই কঠিন সেশন পার করে দিয়েছিলেন তারা। পরদিন সকালে আগের দিনের সেই নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে পয়েন্ট অঞ্চলে এক অনবদ্য শটে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন গিল। উদযাপন ছিল নীরব- শুধু ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে ব্যাটের হালকা ছোঁয়া, যেন বলেই দিলেন, "মিশন এখনও শেষ হয়নি।"

এটি ছিল গিলের টেস্ট ক্যারিয়ারে নবম সেঞ্চুরি এবং চলতি সিরিজে চতুর্থ। এই কীর্তিতে তিনি উঠে গেলেন ডন ব্র্যাডম্যান, মোহাম্মদ ইউসুফ, জ্যাক ক্যালিস, গাভাস্কার ও কোহলির পাশে- যারা এক টেস্ট সিরিজে চারটি করে সেঞ্চুরি করেছেন। এর চেয়েও বড় কথা, এই সেঞ্চুরি দিয়েই সুনীল গাভাস্কার ও ডন ব্র্যাডম্যানের মত কিংবদন্তির পাশে নিজের নাম লিখিয়েছেন গিল। 

অধিনায়ক হিসেবে এক সিরিজে চারটি সেঞ্চুরি করার রেকর্ড ছিল গাভাস্কার ও ব্র্যাডম্যানের। ব্র্যাডম্যান ও গাভাস্কারের পর গিল এখন কেবল তৃতীয় অধিনায়ক যিনি এক সিরিজে চারটি টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন। লর্ডসে হারের পর এবং ম্যানচেস্টারে প্রথম ইনিংসে বোলিং পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে গিলের অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনা চলছিল। কিন্তু এই সেঞ্চুরি যেন সেইসব প্রশ্নের জবাব হয়ে এলো- ব্যাট হাতে, নেতৃত্বের আদর্শ উদাহরণ দিয়ে।

রাহুলের সঙ্গে তার ১৮৮ রানের জুটি ছিল ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে পুনর্জন্মের ভিত্তি। যখন একদম শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে দল ধুঁকছিল, তখন তারা ধৈর্য ও অভিজ্ঞতায় ম্যাচের রং বদলে দেন। চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনে ইংল্যান্ডের বোলাররা একটি উইকেটও নিতে পারেননি, যা এই সিরিজে প্রথমবারের মতো ঘটল।

চতুর্থ সেঞ্চুরির পাশাপাশি গিল সিরিজে ছুঁয়ে ফেললেন ৭০০ রানের মাইলফলক। ভারতের টেস্ট ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে এক সিরিজে এমন রান করলেন তিনি। পেছনে ফেলেছেন চলতি বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যশস্বী জয়সওয়ালের ৭১২ রানকেও। এখন তার সামনে কেবল গাভাস্কারের ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭৭৪ রান।