স্পোর্টস ডেস্ক
২৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪২ পিএম
ম্যানচেস্টার টেস্টের চতুর্থ দিনে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। প্রথম ওভারে ২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ইনিংসের হাল ধরেছেন লোকেশ রাহুল ও শুভমান গিল। দুজনের জুটি পঞ্চম দিনেও এগিয়েছে বেশ খানিকটা, তবে বেন স্টোকসের বলে ৯০ রানে আউট হন রাহুল। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২১০ রান। ম্যাচে হার এড়ানোর বাস্তব সুযোগ তৈরি হয়েছে সফরকারীদের সামনে।
তবে ম্যাচ ঘিরে দল নির্বাচনী সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছে আলোচনা। ম্যানচেস্টার টেস্ট দিয়েই অভিষেক হয়েছে পেসার আনশুল কম্বোজের, অথচ দলের বাইরে ছিলেন কুলদীপ যাদব ও প্রসিধ কৃষ্ণ। চোট পাওয়া নীতিশ কুমার রেড্ডির জায়গায় দলে ফেরানো হয়েছে শার্দুল ঠাকুরকে। এই সিদ্ধান্তগুলো ঘিরেই প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার। তার মতে, দিন শেষে সব সিদ্ধান্তই অধিনায়কের হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, “দিনশেষে এটা অধিনায়কের দল। আপনি বলতে পারেন না, ‘অমুক খেলোয়াড়কে কোচ চাননি’ বা ‘অমুকের বদলে অমুক খেলেছে।’ শার্দুল ঠাকুর বা কুলদীপ যাদবের ক্ষেত্রেও এমন প্রশ্ন উঠবে। কিন্তু সে (গিল) তো অধিনায়ক। তার অধিনায়কত্ব নিয়েই সবাই কথা বলবে, তাই সিদ্ধান্তটাও তার হওয়া উচিত।”

গাভাস্কার আরও বলেন, অধিনায়ক ও কোচের যৌথ সিদ্ধান্তের বিষয়টি তিনি কখনোই ভালোভাবে বুঝতে পারেননি। কারণ তার সময়ে কোচ বলে কিছু ছিল না। গাভাস্কার বলেন, “আমাদের সময় কোচ ছিল না। দলে থাকতেন সাবেক খেলোয়াড়রা, কেউ ম্যানেজার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে। তারা আপনাকে খেলার মাঝে বা আগের রাতে কিছু পরামর্শ দিতেন। কেউই কখনো অধিনায়ককে বলে দিত না কাকে খেলাতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি যখন অধিনায়ক ছিলাম, তখন আমাদের দলে এমন কেউ ছিল না যাকে কোচ বলা যেত। একমাত্র ইরাপল্লি প্রসন্ন ছিলেন, উনি অবশ্য অসাধারণ ছিলেন। বাকিদের মধ্যে ছিলেন উইং কমান্ডার দুররানী, রাজ সিং দুঙ্গারপুর।”
সবশেষে গাভাস্কার সোজাসাপ্টা বললেন, দলের ভালোমন্দের দায়টা অধিনায়কের কাঁধেই থাকা উচিত। তিনি বলেন, “সব কিছু ঠিকঠাক চলছে- এই দেখাতে গিয়েই হয়তো সব প্রকাশ্যে আসে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অধিনায়কই দায়ী। ও-ই মাঠে নামছে, ও-ই নেতৃত্ব দিচ্ছে। তার হাতেই থাকা উচিত সব সিদ্ধান্ত।” উল্লেখ্য, এই টেস্টে যদি ভারত হেরে যায়, তাহলে প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের অধীনে এটি হবে টানা তৃতীয় সিরিজ হার।