images

স্পোর্টস / ফুটবল

ইনফান্তিনোর অধীনে ‘স্বৈরাচার’ চলছে!

স্পোর্টস ডেস্ক

২৭ জুলাই ২০২৫, ১০:১৪ এএম

বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন পেশাদার ফুটবলাররা। এমনটাই জানালেন ফুটবলারদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ফিফপ্রোর সাধারণ সম্পাদক অ্যালেক্সি ফিলিপস। তাঁর দাবি, মৌলিক চাহিদা উপেক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও খেলোয়াড়রা ক্লাব ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার ভয়ে চুপ থাকছেন।

বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬৬ হাজার পেশাদার ফুটবলারের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ফিফপ্রো মনে করে, খেলোয়াড়দের পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। সম্প্রতি সম্প্রসারিত ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনের পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে উঠে আসে চেলসির নাম। ইংলিশ ক্লাবটি মৌসুম শেষ করেছে ১৩ জুলাই, আর নতুন মৌসুম শুরু করছে মাত্র ৩৫ দিন পর, ১৭ আগস্টে। ফলে খেলোয়াড়দের বিশ্রামের সুযোগই মেলেনি।

অ্যালেক্সি ফিলিপস বলেন, “খেলোয়াড়রা মুখ খুলতে ভয় পান। কারণ, তাঁদের এককভাবে কোনো শক্তি নেই। মাত্র ১ শতাংশ তারকা খেলোয়াড় কিছুটা সাহস দেখাতে পারেন, কিন্তু ৯৯ শতাংশ খেলোয়াড়ের পক্ষে কিছু বলা সম্ভব হয় না।” তিনি আরও জানান, ক্লাব বিশ্বকাপের আগে অনেক তারকা ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। একজন খেলোয়াড় তাঁকে বলেন, “আমি শুধু তখনই বিশ্রাম পাই, যখন চোট পাই!” এ থেকেই বোঝা যায়, বিশ্রামের অভাব কী ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ফিফপ্রো অভিযোগ করেছে, অনেক খেলোয়াড়কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্লাব বিশ্বকাপের প্রশংসা করে ভিডিও বার্তা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। অথচ বাস্তবে তাঁরা চাপ, ক্লান্তি ও হতাশায় ভুগছেন। কেউ মুখ খুললে চাকরি হারানোর ভয় থাকে। অ্যালেক্সি বলেন, “খেলোয়াড়রা প্রতিকূল অবস্থায় রয়েছেন। সত্যি কথা বললেই ঝুঁকি নিতে হয়। তাই অনেকেই চুপ থাকেন।”

ফিফপ্রো মনে করে, ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর নেতৃত্বে বিশ্ব ফুটবলে চলছে এক ধরনের ‘স্বৈরাচার’। যেখানে খেলোয়াড়দের মৌলিক চাহিদার প্রতি কোনো সংবেদনশীলতা নেই। সম্প্রতি আমস্টারডামে ৫৮টি খেলোয়াড় ইউনিয়নের এক বৈঠকে ফিফপ্রো জানায়, ফিফা ইচ্ছাকৃতভাবে খেলোয়াড়দের সমস্যাগুলো উপেক্ষা করছে এবং তাঁদের চুপ করিয়ে দিচ্ছে। তারা এটাও বলে, “যে সংস্থা বিশ্ব ফুটবলে নেতৃত্বের দাবি করে, তাদের পক্ষে খেলোয়াড়দের মৌলিক চাহিদা উপেক্ষা করা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।”

অন্যদিকে, সদ্য সমাপ্ত ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনকে মানবাধিকারের প্রতি সংবেদনহীনতা হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে ফিফপ্রো। এই আয়োজন ঘিরে স্পেন, মেক্সিকো, সুইজারল্যান্ড এবং কিরগিজস্তানের খেলোয়াড় ইউনিয়নগুলোকে আমস্টারডামের সভায় ডাকা হয়নি, কারণ তারা আগে নিউইয়র্কে ফিফার সম্মেলনে যোগ দিয়েছিল।