images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

ডসনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মাইকেল ভন

স্পোর্টস ডেস্ক

২৪ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম

টেস্টে আট বছর পর ফেরার দিনই উইকেট তুলে নিলেন লিয়াম ডসন। আর তাতেই প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভনের কণ্ঠে তাঁকে নিয়ে শোনা গেল প্রশংসা- এই অভিজ্ঞ স্পিনারকে দলে রাখলে নাকি ইংল্যান্ড আরও ভালো দল হয়ে ওঠে।

৩৫ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার খেলছেন মাত্র চতুর্থ টেস্ট, আর তাতেই ভারতের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিন সপ্তম বলেই ফিরিয়ে দিলেন যশস্বী জয়সওয়ালকে। ডসনের ঘরোয়া পারফরম্যান্স দারুণ, ব্যাটে-বলে দুটোতেই। কিন্তু এত বছর ধরে তাকে উপেক্ষা করেছে ইংল্যান্ড, বেছে নিয়েছে অন্য স্পিনারদের।

টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল পডকাস্টে মাইকেল ভন বললেন, “ডসন এমন ক্রিকেটার, যাকে আপনি অধিনায়ক হিসেবে বলবেন, আমাকে একটু নিয়ন্ত্রণ দাও, রান আটকে রাখো, ভালো ফিল্ডিং করো। এই প্যাকেজটাই দরকার। অস্ট্রেলিয়া সফর মাথায় রেখেও বলি, এমন ক্রিকেটার ইংল্যান্ড দলকে আরও শক্তিশালী করে।”

ডসনের সুযোগটা এলো শোয়েব বশির চোট পাওয়ায়। লর্ডসে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে আঙুল ভেঙে যাওয়ায় সিরিজ থেকে ছিটকে যান ২১ বছর বয়সী স্পিনার। বশির যদিও নিজের কাউন্টি দলে নিয়মিত নন, কিন্তু ইংল্যান্ড তাকে নিয়েছে ভবিষ্যতের সম্ভাবনা দেখে। এই সিরিজের প্রথম তিন টেস্টে বাশির নিয়েছেন ১০ উইকেট, কিন্তু গড় ৫৪.১০। আর ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ডসন ১৫ ওভারে দিলেন মাত্র ৪৫ রান। ভারতের স্কোর থামিয়ে রাখা গেল অনেকটাই তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে।

ব্যাটিং দিক থেকেও পার্থক্য স্পষ্ট। বশির টেস্টে সর্বোচ্চ রান ১৩, ব্যাটিং করেন ১১ নম্বরে। আর ডসনের ঝুলিতে আছে ১৮টা ফার্স্ট ক্লাস সেঞ্চুরি! ভন বলেন, “আমার মনে হয়, ইংল্যান্ড দলে এমন ব্যাটিং লাইন-আপ দরকার যেটা একেবারে পরিপূর্ণ। বাশিরের ওভারস্পিন কাজে লাগে, কিন্তু ইংল্যান্ডের পিচে দরকার নিয়ন্ত্রণ। ডসন ছয়-সাত উইকেট নাও নিতে পারে, কিন্তু দুই-তিনটা নিয়মিতভাবে পাবে। পিচ ভাঙলে চার-পাঁচটা উইকেটও পেতে পারে।”

২০১৬ থেকে ২০১৭, এই সময়ে মাত্র তিনটি টেস্টে সাতটি উইকেট নিয়েছিলেন ডসন। এরপর অনেকদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পাননি, কিন্তু এই সময়ে হয়ে উঠেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের শীর্ষ স্পিনার। ২০২৩ সালে পিসিএর বর্ষসেরা খেলোয়াড়ও ছিলেন তিনি। বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগেও খেলছেন নিয়মিত।

তবুও গত বছর ভারতের সফরের দলে ছিলেন না। সেই সফরেই মাত্র ছয়টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলা বাশির টেস্ট অভিষেক করেন। ইংল্যান্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রব কি সেসময় বলেছিলেন, “ডসন সম্ভবত এমন কেউ না যে ১৫-১৬তম ক্রিকেটার হয়ে ভারতের মতো সফরে যেতে আগ্রহী।” কিন্তু বুধবার ডসন জানালেন, তিনি কখনোই কোনো টেস্ট সফর প্রত্যাখ্যান করেননি। হ্যাঁ, ২০২৩ সালের পাকিস্তান সুপার লিগে চুক্তি থাকায় বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে যাননি।

তিনি বলেন, “এই বয়সে এসে সত্যি বলতে আমি ভাবিনি আর খেলবো। এটা নিয়ে কখনো চিন্তাও করিনি। আমি শুধু ক্রিকেট উপভোগ করতে চেয়েছি, এটা আগেও বলেছি। আবার ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারাটা দারুণ ব্যাপার। প্রতিদিন উপভোগ করার চেষ্টা করছি।”

“দ্বিতীয়বারের মতো টেস্টে ফেরার সময় আমি জানতাম কী আসতে পারে, তাই প্রস্তুত ছিলাম। অবশ্যই নার্ভাস ছিলাম, তবে ভালোভাবে সামলেছি। যত বেশি খেলবেন, তত বেশি শিখবেন কীভাবে চাপ সামলাতে হয়।”