স্পোর্টস ডেস্ক
২০ জুলাই ২০২৫, ০১:৪১ পিএম
মাত্র চারদিনের বিশ্রাম শেষে আবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। প্রতিপক্ষ এবার শক্তিশালী পাকিস্তান, আর খেলা হবে ঘরের মাঠে, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। তবে ঘরের মাঠ হলেও উইকেট নিয়ে চিন্তায় আছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। কারণ, মিরপুরের উইকেট বরাবরই স্পিন সহায়ক ও ধীর গতির, যা ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে দেড় মাস আগেই পাকিস্তানের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা পেছনে ফেলে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নামছে টাইগাররা। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের অভিজ্ঞতা দলের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
মিরপুরের উইকেট এবারও স্পিনবান্ধব হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও বাংলাদেশ স্পিন সহায়ক উইকেটে খেলে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ২২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র তিনটিতে, যার দুটি জয় এসেছে মিরপুরে।
পাকিস্তান সব সময়ই বাংলাদেশের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচিত। পরিসংখ্যান সেই কথাই বলে। তবে সাম্প্রতিক ফর্মে বাংলাদেশ দল যে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, সেটি স্পষ্ট শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজেই। ব্যাটিং অর্ডারে ভারসাম্য, বল হাতে স্পিনারদের দাপট, সব মিলিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে স্বস্তিতে আছে টিম টাইগারস।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে ওপেনিংয়ে পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম বেশ ভালো ছন্দে ছিলেন। তিন নম্বরে লিটন দাসের আগ্রাসী ব্যাটিং দলের ভিত গড়ার পাশাপাশি প্রতিপক্ষকে শুরুতেই চাপে ফেলেছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষেও এই সফল টপ অর্ডার ধরে রাখার সম্ভাবনাই বেশি।
মিডল অর্ডারে তাওহীদ হৃদয়, শামিম পাটোয়ারী ও জাকের আলীর কাঁধে থাকবে দায়িত্ব। বিশেষ করে ফর্মে থাকা শামিম হতে পারেন তুরুপের তাস। চাপের মুহূর্তে তার ইতিবাচক মেজাজ দলের জন্য হয়ে উঠতে পারে বড় সম্পদ। মিরপুরের স্পিন-বান্ধব কন্ডিশনে স্পিনারদের ভূমিকা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শেখ মেহেদী হাসান এবং রিশাদ হোসেনকে ঘিরেই মূল স্পিন আক্রমণ গড়ে উঠবে। নিজেদের মাঠে, পরিচিত কন্ডিশনে শেখ মেহেদীর কার্যকারিতা আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। স্পিন ইউনিটে বাড়তি বিকল্প হিসেবে থাকতে পারেন নাসুম আহমেদ, যদি তিন স্পিনার খেলানো হয়।
পেস আক্রমণে মুস্তাফিজুর রহমান অনিবার্য। তার সঙ্গী হিসেবে দেখা যেতে পারে তানজিম হাসান সাকিবকে। তবে মিরপুরের উইকেট যদি অতীতের মতোই স্পিন সহায়ক হয়, তাহলে হয়তো মাত্র দুই পেসারেই সন্তুষ্ট থাকবে টিম ম্যানেজমেন্ট।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ- তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), তাওহীদ হৃদয়, শামিম পাটোয়ারী, জাকের আলী, শেখ মেহেদী, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান।