স্পোর্টস ডেস্ক
১৬ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম
১২৮ বছর পর আবার অলিম্পিক মঞ্চে ফিরছে ক্রিকেট। লস অ্যাঞ্জেলেস ২০২৮ অলিম্পিককে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৮ সালের ১২ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি আসর।
পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা আলাদা টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে, প্রতিটিতেই থাকবে ছয়টি করে দল। নারীদের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২০ জুলাই, আর পুরুষদের লড়াই ২৯ জুলাই। প্রতিটি দলে থাকবে সর্বোচ্চ ১৫ জন করে ক্রিকেটার। অর্থাৎ, দুই বিভাগ মিলিয়ে মোট ১৮০ জন ক্রিকেটার খেলবেন এই ঐতিহাসিক আসরে।
লস অ্যাঞ্জেলেস শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের পোমোনা ফেয়ারপ্লেক্স ভেন্যু হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। এখানে প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ হবে, যথাক্রমে সকাল ৯টা ও সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে (স্থানীয় সময়)। এ ধরনের ডাবল হেডার আয়োজন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের জন্য বেশ উপযুক্ত এবং দর্শকদের জন্যও উপভোগ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ক্রিকেট এর আগে মাত্র একবারই জায়গা পেয়েছিল অলিম্পিকে। ১৯০০ সালে প্যারিস অলিম্পিকে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে হয়েছিল একমাত্র ম্যাচ, যেখানে জয়ী হয়েছিল ব্রিটিশরা। এরপর দীর্ঘ ১২৮ বছর ধরে অলিম্পিক থেকে দূরে ছিল ক্রিকেট। তাই ২০২৮ সালে অলিম্পিকে এই ফরম্যাটে ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তনকে ইতিহাসের এক বিশেষ অধ্যায় হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
তবে কোন দলগুলো খেলবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। বাছাইয়ের নিয়ম কিভাবে হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জুলাই ১৭ থেকে সিঙ্গাপুরে শুরু হতে যাওয়া আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে। ক্রিকেটের এই অলিম্পিক প্রত্যাবর্তন শুধু ফরম্যাট নয়, বরং বিশ্বব্যাপী এই খেলাটিকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে বড় ভূমিকা রাখবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নের পর এবার ক্রিকেটারদের জন্য নতুন মঞ্চ অলিম্পিক। এই আয়োজন যে ক্রিকেটের বৈশ্বিক সম্প্রসারণে নতুন মাত্রা যোগ করবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।