স্পোর্টস ডেস্ক
০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
অল্পের জন্য বিদায় এড়ালেন, দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জায়গা করে নিলেন সেমিফাইনালে। বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা আরিনা সাবালেঙ্কা উইম্বলডনের নারী এককে জায়গা করে নিয়েছেন শেষ চারে, তবে তার আগে তাকে পাড়ি দিতে হয়েছে এক রুদ্ধশ্বাস লড়াই। জার্মানির লরা সিগেমুন্ডকে ৪-৬, ৬-২, ৬-৪ গেমে হারিয়ে সেমিতে পৌঁছেছেন এই বেলারুশিয়ান।
সেন্টার কোর্টে শেষ সেটে দুইবার ব্রেক পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েছিলেন সাবালেঙ্কা। হারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন, মাত্র দুই গেম দূরে ছিল বিদায়। তবে সেখান থেকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ান, ম্যাচ জেতেন দুই ঘণ্টা ৫৪ মিনিটের এক রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে।
এই নিয়ে তৃতীয়বার উইম্বলডনের সেমিফাইনালে উঠলেন ২৭ বছর বয়সী সাবালেঙ্কা। ২০২১ এবং ২০২৩ সালে এই পর্যায় থেকেই বিদায় নিয়েছিলেন। এবার তাঁর লক্ষ্য আরও বড়।
২০২৪ সালে ইউএস ওপেন জেতা সাবালেঙ্কা এ বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে হেরেছেন। এবার চাইছেন টানা চতুর্থ গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল খেলা।সেমিফাইনালে সাবালেঙ্কার প্রতিপক্ষ হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ নম্বর বাছাই আমান্ডা আনিসিমোভা কিংবা রাশিয়ার বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ৫০ নম্বরে থাকা আনাস্তাসিয়া পাভলিউচেনকোভা।
ম্যাচ শেষে সাবালেঙ্কা বলেন, “এটা একটা আসল পরীক্ষা ছিল। এখন একটু শান্ত হয়ে নিজেকে সামলাতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “প্রথম সেট হেরে যাওয়ার পর নিজের বক্সের দিকে তাকিয়ে বলছিলাম, ‘টিকিট বুক করে ফেলো, মনে হয় আমরা এই সুন্দর জায়গা ছেড়ে যাচ্ছি।’”
৩৭ বছর বয়সী সিগেমুন্ড মূলত ডাবলসে সাফল্য পেয়েছেন, কিন্তু এবার এককে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। এটি ছিল তাঁর দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম একক কোয়ার্টার ফাইনাল। এই পথেই তিনি হারিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনজয়ী ম্যাডিসন কিসকেও। শেষ সেটে সাবালেঙ্কা একটি ডাবল ফল্ট ও দুইটি আনফোর্সড এরর করলে সিগেমুন্ড সেমির খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর আবারও ঘুরে দাঁড়ান সাবালেঙ্কা। প্রতিপক্ষের সার্ভিস ভেঙে দিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের জয় নিশ্চিত করেন। ম্যাচ জেতার পর চিৎকার দিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি।
সাবালেঙ্কা বলেন, “তুমি যত বড় সার্ভার বা হিটার হও না কেন, জয় পেতে হলে মাঠে দৌড়াতে হয়, লড়াই করতে হয়, পরিশ্রম করতে হয়।” তিনি আরও যোগ করেন, “মাঝেমধ্যে একটু বিরক্ত লাগলেও সেটা প্রকাশ করলে চলবে না। কারণ প্রতিপক্ষকে যদি বুঝতে দাও তুমি টাল খাচ্ছো, সেটা তার জন্য বাড়তি এনার্জি হয়ে যায়।”