স্পোর্টস ডেস্ক
০৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:১০ পিএম
জুলাই ৭ তারিখ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সিইও হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সঞ্জয় গুপ্ত। তিনি জিওস্টারের ‘স্পোর্টস অ্যান্ড লাইভ এক্সপেরিয়েন্সেস’-এর বর্তমান সিইও পদ থেকে আইসিসির সপ্তম সিইও হিসেবে যোগ দিচ্ছেন। তার আগের সিইও জিওফ অ্যালারডাইস চলতি বছরের জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন। তিনি প্রথমে ২০২০ সালে অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন, পরে ২০২১ সালে পূর্ণকালীন সিইও হন।
আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ এক বিবৃতিতে বলেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, সঞ্জয় গুপ্তকে আইসিসির নতুন সিইও হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনের কৌশলগত পরিকল্পনা এবং ব্যবসায়িক দিকগুলো নিয়ে তার অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে অমূল্য সম্পদ হয়ে উঠবে।”
জয় শাহ আরও বলেন, “বিশ্বজুড়ে খেলাধুলা এবং মিডিয়া-এন্টারটেইনমেন্ট (এমঅ্যান্ডই) ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপারে তার গভীর বোঝাপড়া, প্রযুক্তির প্রতি তার আগ্রহ, আর ক্রিকেটপ্রেমীদের চাহিদা বোঝার সক্ষমতা আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় দারুণ সহায়ক হবে। আমরা চাই ক্রিকেটকে কেবল ঐতিহ্যবাহী গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে অলিম্পিকেও নিয়ে যেতে। এই খেলাটিকে বিশ্বজুড়ে আরও বিস্তৃত এবং মূল বাজারে আরও গভীরে প্রোথিত করতে চাই।”
আইসিসি জানিয়েছে, সঞ্জয়কে নিয়োগ করা হয়েছে একটি "বিশ্বব্যাপী নিয়োগ প্রক্রিয়া"-এর মাধ্যমে, যা শুরু হয়েছিল ২০২৫ সালের মার্চে। এই পদে আবেদন পড়ে ২৫টি দেশের ২৫০০ জন প্রার্থীর কাছ থেকে। আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন ক্রীড়া প্রশাসক, করপোরেট জগতের শীর্ষ নির্বাহীরা এবং অন্যান্য খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
আইসিসি আরও জানায়, “সেখান থেকে ১২ জন প্রার্থীকে শর্টলিস্ট করা হয়। এরপর মনোনয়ন কমিটি- যার সদস্য ছিলেন আইসিসির ডেপুটি চেয়ার ইমরান খাজা, ইংল্যান্ড বোর্ডের চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসন, শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্ট শাম্মি সিলভা এবং বিসিসিআই সচিব দেবজিত সইকিয়া- পরবর্তী ধাপে পৌঁছান এবং সর্বসম্মতভাবে সঞ্জয় গুপ্তকে নির্বাচিত করেন। এরপর আইসিসি বোর্ড চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।”
নিয়োগ পাওয়ার পর সঞ্জয় গুপ্ত বলেন, “এমন এক সময়ে এই দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য অনেক সম্মানের। এখনই ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তগুলোর একটি। বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০০ কোটি ভক্তের ভালোবাসা ও সমর্থন এই খেলাটিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় টুর্নামেন্টগুলোর গুরুত্ব বেড়েছে, ব্যবসায়িক সুযোগও আগের চেয়ে অনেক বেশি। নারী ক্রিকেটের জনপ্রিয়তাও দ্রুত বাড়ছে। লস অ্যাঞ্জেলেস ২০২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি ও প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি ক্রিকেটকে বিশ্বমঞ্চে আরও শক্ত অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে।”