images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

ভারতের অবদানের জন্য আইসিসির আরও বেশি লভ্যাংশ দেওয়া উচিত: শাস্ত্রী

স্পোর্টস ডেস্ক

২৯ জুন ২০২৫, ০২:১৪ পিএম

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) আর্থিক কাঠামো নিয়ে ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক। ২০২৪-২০২৭ চক্রে সংস্থাটির প্রাক্কলিত বার্ষিক আয় ৬০ কোটি মার্কিন ডলার, যার সবচেয়ে বড় অংশই পাচ্ছে ভারত। বার্ষিক আয়ের ৩৮.৬ শতাংশ, অর্থাৎ ২৩ কোটি ১০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা) পাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

তবে এই বিপুল অর্থকেও যথেষ্ট মনে করছেন না ভারতের সাবেক ক্রিকেটার, কোচ এবং বর্তমান জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী। ক্রিকেটবিষয়ক খ্যাতনামা ওয়েবসাইট উইজডনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'ভারত যা পায় সেটি ঠিকই আছে। আমি তো মনে করি ভারতের আরও বেশি পাওয়া উচিত। আইসিসির যে আয় হয়, তার বেশির ভাগই তো আসে ভারতের বাজার থেকে। ভারত তার ভাগেরটা পেলে দোষ কী?' 

রবি শাস্ত্রীর এই মন্তব্য অনেকের কাছেই বিস্ময়কর মনে হতে পারে। কারণ, দীর্ঘদিন ধরেই আইসিসির রাজস্ব বণ্টন নিয়ে সমতা ও ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অথচ এবার সেই কাঠামোর পক্ষে কথা বলেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের একজন প্রভাবশালী মুখ।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে বিসিসিআইয়ের প্রভাব যেমন মাঠে, তেমনি মাঠের বাইরেও দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু তুলনামূলকভাবে বাকি দেশগুলোর প্রাপ্তি অনেক কম। চলতি চক্রে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) পাচ্ছে ৬.৮৯ শতাংশ এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া পাচ্ছে ৬.২৫ শতাংশ। যা ভারতের তুলনায় প্রায় ছয় গুণ কম। 

অন্যান্য টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর প্রাপ্তিও একইভাবে কম। পাকিস্তান পাচ্ছে ৫.৭৫ শতাংশ, নিউজিল্যান্ড ৪.৭৩ শতাংশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪.৫৮ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ৪.৫২ শতাংশ, বাংলাদেশ ৪.৪৬ শতাংশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ৪.৩৭ শতাংশ। 

শাস্ত্রী বলেন, 'আমি চাই ভারত আরও বেশি লভ্যাংশ পাক। কোনো দিন অন্য কোনো দেশের অর্থনীতি বড় হয়ে গেলে, সেখান থেকেও আয় বাড়বে। তখন তারাও পাবে, যেমন ৭০ ও ৮০–র দশকে পেত।'

বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের প্রভাব নিয়ে চলমান সমালোচনারও জবাব দিয়েছেন তিনি। তার ভাষায়, 'ভারত যখন দেশের বাইরে খেলে, তখন সম্প্রচারস্বত্ব থেকে কত আয় হয় সেটা খেয়াল করুন। আবার, অন্য দল ভারত সফরে এলে কত দামে সম্প্রচারস্বত্ব বিক্রি হয় তা–ও দেখুন। সেখান থেকেই বোঝা যাবে, ভারতের ন্যায্য প্রাপ্য কী।'