images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির পাওয়ার প্লে নিয়মে বড় পরিবর্তন আনল আইসিসি

স্পোর্টস ডেস্ক

২৭ জুন ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম

ক্রিকেটের বেশ কয়েকটি নিয়মে সম্প্রতি পরিবর্তন এনেছে আইসিসি। টেস্টে স্টপ ক্লক চালু, থুথু ব্যবহার হলে নতুন বল নেওয়া যাবে কি না- এসব সহ আরও বেশ কয়েকটি নিয়মেই বদল এসেছে। এবার পরিবর্তন এলো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির পাওয়ার প্লের নিয়মে। 

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বৃষ্টিবিঘ্নিত বা সংক্ষিপ্ত ম্যাচে পাওয়ারপ্লে ওভারের হিসাব এবার থেকে হবে বল অনুসারে, ওভার ধরে নয়। এমনই বড় এক পরিবর্তন আনলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে ২০২৫ সালের জুলাই থেকে।

সাধারণত টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথম ৬ ওভার পর্যন্ত মাঠে নির্দিষ্ট ফিল্ডিং সীমাবদ্ধতার সময়টাকেই বলা হয় পাওয়ারপ্লে। যেখানে ব্যাটিং দল সুযোগ পায় খোলা মাঠে শট খেলার। তবে যখন কোনো ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ছোট হয়ে যায়, তখন ওই পাওয়ারপ্লের দৈর্ঘ্য হিসাব করা হতো ওভারে। অর্থাৎ, ভগ্নাংশ থাকলেও তা পূর্ণ এক ওভার হিসেবেই ধরা হতো।

এই নিয়মই এবার বদলে দিয়েছে আইসিসি। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সংক্ষিপ্ত টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ারপ্লের হিসাব করা হবে সবচেয়ে কাছের বল সংখ্যায়। এতে করে ছোট ম্যাচগুলোতেও ফিল্ডিং সীমাবদ্ধতায় ভারসাম্য আসবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

নতুন নিয়মে কীভাবে হিসাব হবে পাওয়ারপ্লে?

নতুন নিয়মে প্রতিটি নির্ধারিত ওভারের জন্য পাওয়ারপ্লের দৈর্ঘ্য এইভাবে নির্ধারণ করা হবে:

ম্যাচ ছোট হয়ে এলে (ওভারে)   পাওয়ারপ্লে (ওভারে)
৫ ওভার  ১.৩ ওভার
৬ ওভার    ১.৫ ওভার
৭ ওভার  ২.১ ওভার
৮ ওভার  ২.২ ওভার
৯ ওভার   ২.৪ ওভার
১০ ওভার  ৩ ওভার
১১ ওভার ৩.২ ওভার
১২ ওভার  ৩.৪ ওভার
১৩ ওভার ৩.৫ ওভার
১৪ ওভার  ৪.১ ওভার
১৫ ওভার  ৪.৩ ওভার
১৬ ওভার  ৪.৫ ওভার
১৭ ওভার   ৫.১ ওভার
১৮ ওভার  ৫.২ ওভার
১৯ ওভার ৫.৪ ওভার

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি কোনো ম্যাচ ৮ ওভারে সীমিত হয়, তাহলে ব্যাটিং দল পাওয়ারপ্লেতে পাবে ২.২ ওভার। আগের নিয়মে এটি হিসাব হতো ২ ওভার হিসেবে। আবার ৯ ওভারের ম্যাচে পাওয়ারপ্লে হতো ৩ ওভার, যা এখন হবে ২.৪ ওভার।

শুধু পাওয়ারপ্লেই নয়, সম্প্রতি আইসিসি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়মে পরিবর্তন এনেছে। টেস্ট ক্রিকেটে স্টপ ক্লক: সময়ক্ষেপণ রোধে ওভার শুরুর সময় গণনা করতে যুক্ত হয়েছে স্টপ ক্লক। একই সময়ে একাধিক সিদ্ধান্ত (যেমন ক্যাচ এবং এলবিডব্লিউ) নিয়ে রিভিউ হলে সেগুলো বিচার করা হবে যেভাবে ঘটনা ঘটেছে তার ক্রমানুসারে। এছাড়া বড় ধরনের চোট পেলে দলের জন্য একজন ‘লাইক-ফর-লাইক’ স্থায়ী পরিবর্তিত খেলোয়াড় মাঠে নামানো যাবে।

সব মিলিয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটকে আরও নিরপেক্ষ ও আধুনিক করার দিকেই এগোচ্ছে আইসিসি। ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এই পরিবর্তনগুলো নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।