images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

বার্মি আর্মির ট্রলের শিকার ভারতের তারকা ক্রিকেটার

স্পোর্টস ডেস্ক

২২ জুন ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম

লিডসে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন ছিল ভারতীয় দলের জন্য হতাশার। ব্যাটিংয়ে ৪৭১ রান তুললেও বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে ছিল একরাশ ভুল। যশপ্রীত বুমরাহ একাই তিন উইকেট নিলেও অন্য কেউই উইকেট তুলতে পারেননি। ক্যাচ মিস হয়েছে তিনটি, যার খেসারত দিচ্ছে ভারত।

দিন শেষে ইংল্যান্ড তুলেছে ২০৯/৩, পিছিয়ে ২৬২ রানে। কিন্তু ইংল্যান্ডের জবাবটা আরও ধাক্কাধাক্কির হতে পারত যদি ভারতের ফিল্ডাররা সুযোগ কাজে লাগাতে পারতেন। পঞ্চম ওভারে বেন ডাকেটের সহজ ক্যাচ ফেলেন যশস্বী জয়সওয়াল। সপ্তম ওভারে আবার তাকে জীবন দেন রবীন্দ্র জাদেজা। এরপর জয়সওয়াল ক্যাচ ফেলেন ওলি পোপের, যিনি পরে সেঞ্চুরি তুলে নেন।

বিশেষ করে জাদেজার ক্যাচ মিসটা অনেকের চোখে পড়ে, কারণ তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ফিল্ডারদের একজন হিসেবে পরিচিত। ইংল্যান্ডের সমর্থক গোষ্ঠী বার্মি আর্মি পর্যন্ত ব্যঙ্গ করে লেখে, "রবীন্দ্র জাদেজা কি বিশ্বের সেরা ফিল্ডার নাকি শুধু কথার কথা?"

ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর নেতৃত্ব দেন ওলি পোপ। বেন ডাকেটকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ১২২ রানের জুটি গড়েন তিনি। দ্বিতীয় দিন শেষে পোপ অপরাজিত ১০০ রানে, তার সঙ্গী হ্যারি ব্রুক ছিলেন ০ রানে। এর আগে ভারতের ইনিংসে ৩৫৯/৩ অবস্থান থেকে দিন শুরু করে ৪৭১ রানে থামে। শেষ সাত উইকেট পড়ে মাত্র ৪১ রানে, যা পুরো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

দিনের শেষ সেশনে ইংল্যান্ড ১০৭/১ স্কোর থেকে ব্যাটিং শুরু করে। পোপ তুলে নেন নিজের অর্ধশতক, ৬৪ বলে। ডাকেট-পোপের ব্যাটে এক সময় ভারতীয় বোলাররা চাপে পড়ে যান। তবে বুমরাহ দারুণভাবে ভেঙে দেন এই জুটি- ডানহাতি পেসারের বলেই মিডল স্টাম্পে বোল্ড হন ডাকেট, ৬২ রানে।

বুমরাহ পরের বলেই পোপকে ফেরানোর সুযোগ তৈরি করেন, কিন্তু স্লিপে সহজ ক্যাচ মিস করেন জয়সওয়াল। এরপর মোহাম্মদ সিরাজের এক বল প্রথমে জো রুটকে এলবিডব্লিউ মনে হলেও রিভিউতে বেঁচে যান তিনি। এরপর পোপ-রুট মিলে স্কোর নিয়ে যান ২০০ রানে। পোপ নিজের নবম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন ১২৫ বলে, মারেন ১৩টি চার। তবে পরের বলেই বুমরাহ আবার আঘাত হানেন, রুটকে আউট করেন ক্যারুন নায়ারের ক্যাচে। রুট ফেরেন ২৮ রান করে, এটি ছিল বুমরাহর বিপক্ষে তার ১০ম আউট হওয়া।

দিন শেষে পোপ ও ব্রুক অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন, ইংল্যান্ড হাতে সাত উইকেট রেখে ভারতের বড় স্কোরের জবাব দিচ্ছে দৃঢ়তায়। আর ভারত? ফিল্ডিং ব্যর্থতা না কমালে ম্যাচ হাতছাড়া হওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার।